হাড়ের ক্ষয় রোধে কী করবেন

Home Page » ফিচার » হাড়ের ক্ষয় রোধে কী করবেন
মঙ্গলবার ● ১৬ জানুয়ারী ২০২৪


হাড়ের ক্ষয় রোধে কী করবেন

অস্টিওপোরোসিস বা হাড় ক্ষয় রোগ এক নীরব ঘাতকের নাম। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড় ক্ষয় হতে শুরু করে। এটি এমন এক অবস্থা, যেখানে শরীরের হাড়গুলো ঘনত্ব হারায় এবং আস্তে আস্তে ভঙ্গুর হতে শুরু করে।

অস্টিওপোরোসিস বা হাড় ক্ষয় শুরু হলে যে কোনো সময় ফ্রাকচার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অন্যান্য রোগের মতো শুরুতে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি সহজে বোঝা যায় না। হাড়ের ক্ষয় ধীরে ধীরে হয়। অনেক পরে আক্রান্ত ব্যক্তি বুঝতে পারেন।

হাড় ক্ষয় রোধে যা করতে পারেন
ব্যায়াম করুন : গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যায়াম হাড়ের বৃদ্ধিতে উদ্দীপনা জোগায়। সুতরাং আজ থেকেই ভারোত্তোলন ব্যায়াম শুরু করুন। বিশেষজ্ঞদের মতে, সপ্তাহে তিনবার ২০-৩০ মিনিট ব্যায়াম করলেই যথেষ্ট। যদি আপনি আরও বেশি করতে পারেন, তাহলে আরও ভালো। হাড় গঠনকারী উপাদান গ্রহণ করুন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে হবে। চেষ্টা করবেন দৈনিক এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে। দুগ্ধজাত পণ্য ক্যালসিয়ামের চমৎকার উৎস।

চর্বি নিয়ে শঙ্কিত হবেন না
দুগ্ধজাত খাবারে চর্বি থাকে বলে সেগুলো থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন না। দুধ, দই, পনির প্রভৃতি খাবার স্বল্প চর্বি এবং চর্বিবিহীন দু’ভাবেই তৈরি করতে পারেন। দুধের চর্বি বাদ দিয়ে আপনি আসল পুষ্টি গ্রহণ করুন। মাঝেমধ্যে চিকিৎসকের কাছে যাবেন। চিকিৎসক আপনার পারিবারিক ইতিহাস জেনে অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে কিছু ব্যবস্থাপত্র দেবেন।

ভিটামিন-কে গ্রহণ করুন
এই ভিটামিন প্রোটিনকে ত্বরান্বিত করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, হাড়ের জন্য ভালো ব্যবস্থা হলো দৈনিক ১০০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন-কে গ্রহণ করা। ভিটামিন-কের চমৎকার উৎস হলো স্পিনিজ, ব্রকলি, বাঁধাকপি, অ্যাসপ্যারাগাস এবং বিভিন্ন সবুজ শাকসবজি।

ধূমপান বন্ধ করুন
আপনার যদি ধূমপানের অভ্যাস থাকে, এখনই ছেড়ে দিন। গবেষকদের ধারণা, ধূমপান ইস্ট্রোজেনের বিপাক ক্রিয়াকে বৃদ্ধি করে। যার ফলে হাড়ের বৃদ্ধির উদ্দীপনা কমে যায়।

ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ করুন
এই খনিজ সত্যিকার অর্থে আপনার হাড়ের ওপরের অংশ তৈরি করে। প্রতিদিন ৪০০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ করতে হবে। ম্যাগনেসিয়ামের ভালো উৎস বাদাম, শুকনো শিম, স্পিনিজ, গমের ভ্রূণ, গমের ভুসি প্রভৃতি।

প্রয়োজনে সাপ্লিমেন্ট খান
ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের মাধ্যমে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বাড়াতে পারেন। তবে একবারে ৫০০ মিলিগ্রামের বেশি গ্রহণ করবেন না। ক্যালসিয়াম দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে খাবেন। তবে ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে গ্রহণ করবেন।

লেখক : বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।

বাংলাদেশ সময়: ১৪:৫০:১৬ ● ১২৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ