রবিবার ● ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫

রঙলেপা- ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরেঃ পর্ব-৮ স্বপন চক্রবর্তী

Home Page » সাহিত্য » রঙলেপা- ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরেঃ পর্ব-৮ স্বপন চক্রবর্তী
রবিবার ● ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫


স্বপন কুমার চক্রবর্তী

জনাব Abul Ahad Md. Shahjahan. তিনি অগ্রণী ব্যাংকের প্রাক্তন মহাব্যবস্থাপক ও সোনালী ব্যাংকের প্রাক্তন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি অত্যন্ত সামাজিক ও সমাজসেবি মানুষ। চট্টগ্রামের সকল সামাজিক কাজে তাঁর উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়। তিনি বৃহত্তর চট্টগ্রামের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জন্য “রিটায়ার্ড অগ্রণী ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ” নামের সংগঠনটির সভাপতি। তাঁর সৌজন্যে সেখানকার জাতীয় দিবস, ব্যাংকিং পর্যায়ের অনুষ্ঠানাদি , আনন্দ সংবাদ বা অনাকাঙ্খিত দুঃসংবাদ, সবই আমরা জানতে পারি। আমরাও আনন্দে উদ্বেলিত হই, অথবা বেদনায় সমব্যথি হয়ে থাকি। বীরপ্রতীক তারামন বিবির অসামান্য অবদানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে তিনি তাঁর আদুরে কন্যার নামাকরণ করেছেন “ তারামন”। তিনি লিখেন এবং রঙলেপার লেখায় গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন। আমার “ লোন হয়েছিল কিন্তু ছুটি মিলেনি লেখাটি Continue করার জন্য স্যারের মূল্যবান কথাটি রাখতে পারিনি। লেখা হারিয়ে গেছে। তবে স্যারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমি। তাই চেষ্টা করবো নোটগুলি খুঁজে পেতে । অন্যথায় নতুন করে লিখতে চেষ্টা করবো। স্যারের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।

আর একজন অবসরপ্রাপ্ত উপমহাব্যবস্থাপক, বাবু বিমলেন্দ্র সাহা। অগাধ জ্ঞানের অধিকারী। তাঁর পান্ডিত্য প্রশংসনীয়। প্রায় প্রতিটি উল্লেখযোগ্য ঘটনার বিবরণ, সন তারিখ সহ তিনি তাৎক্ষণিক বলে দিতে পারেন। তিনি কোন লিখা দেননি বটে, তবে রঙলেপাকে অন্তরে লালন করেন। তাঁরা আছেন অন্তরে অন্তরে। তাঁরা প্রায় প্রতিটি লেখার মূল্যবান মন্তব্য দিয়ে গ্রুপটিকে উৎসাহিত করেন। তাঁদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা।

বঙ্গনিউজ.কম এবং BDC চ্যানেলের স্বত্বাধিকারী ও সম্পাদক এবং একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তথা আমরও শিক্ষক জনাব লুৎফর রহমান জয়। তিনি তাঁর অনলাইন নিউজ চ্যানেলে আমাদের অনেক কিছু প্রকাশ করার সুযোগ দিয়ে আমাদেরকে কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করেছেন। আমাদের রঙলেপার একজন হিতাকাঙ্খী তিনি। সাহিত্যানুরাগী এই মহতীপ্রাণা মানুষটি ইতিপুর্বে তিনি আমার লেখাসহ অনেকের লেখায় সুন্দর মন্তব্য করেছেন। আমার ”সীমান্ত ভ্রমণের সাতটি দিন ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথাতে” আমাকে উৎসাহিত করেছিলেন এই বলে যে, এসব লেখা একদিন হয়তো ঐতিহাসের রেফারেন্স হিসেবে গুরুত্ব পাবে। অনেক লেখা তিনি পড়েন এবং মন্তব্য করেন। তাঁর লেখার ধরন এবং মন্তব্য একটু অন্য রকম এবং গতানুগতিক নয়, ব্যতিক্রম। আমার সহ আমাদের গ্রুপের কয়েক জনের জন্মদিন উপলক্ষে রঙিন ও ডিজিটাল ব্যানারে ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করে জন্মদিনকে আরও রঙির করেছেন। তাঁর লেখা কয়েকটি বই আছে। তন্মধ্যে ”পৃথিবীর এক বিশ্ববিদ্যালয় “ বইটি “ অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণ পদক এবং মাদার তেরেসা” আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছে।
তিনি নিজে লাইভ সম্প্রচার করেন। দেশী এবং বিদেশী অথবা বিদেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশীদের নিয়ে লাইভ অনুষ্ঠানে খুব গুরুত্বপুর্ণ বিষয় বস্তু তুলে ধরেন। অত্যন্ত আকর্ষণীয় সে সকল অনুষ্ঠানে সরাসরি অংশ গ্রহণের মাধ্যমে দর্শকদের মূল্যবান মন্তব্যও প্রচার করেন। সব চেয়ে আকর্ষণীয় হয় একুশে বই মেলার স্টলের সম্প্রচার। যে কোন পুস্তকের সমালোচনা অথবা লেখক-প্রকাশকের নিজস্ব বক্তব্য গুরুত্ব দিয়ে লাইভ সম্প্রচার করে থাকেন। এই অনুষ্ঠান পুরো ফেব্রুয়ারী মাসব্যাপী চলতে থাকে। এই গুণী ব্যক্তিকে আমাদের একজন হিসেবে পেয়ে আমরা খুব আনন্দিত ও গর্বিত। নিচে জনাব লুৎফর রহমান জয়ের একটা ছবি সংযোজন করতে চাই। ( চলবে )

লুৎফর রহমান জয়

বাংলাদেশ সময়: ২০:১০:৫১ ● ৪৯ বার পঠিত