সোমবার ● ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

ট্রাইব্যুনালে আবু সাঈদ মামলার সাক্ষ্য

Home Page » প্রথমপাতা » ট্রাইব্যুনালে আবু সাঈদ মামলার সাক্ষ্য
সোমবার ● ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫


ট্রাইব্যুনালে আবু সাঈদ মামলার সাক্ষ্য

চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ এবং রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) তৃতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দিচ্ছেন তদন্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এই সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম চলছে। মামলার ২৫ নম্বর সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিতে গিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা আজ অবশিষ্ট আসামিদের ব্যক্তিগত দায় ও ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরবেন।

এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর তার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় এবং গতকাল রবিবার পর্যন্ত তিনি মামলার ৩০ জন আসামির মধ্যে ১৬ জনের সুনির্দিষ্ট অপরাধ ও দায় নিয়ে ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি প্রদান করেছেন।

তদন্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন তার জবানবন্দিতে তদন্ত চলাকালীন সংগৃহীত তথ্য-প্রমাণ, জব্দকৃত আলামত এবং ঘটনার পারিপার্শ্বিক বিষয়াদি বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করছেন। তার এই দীর্ঘ জবানবন্দি শেষ হওয়ার পর গ্রেপ্তার ও পলাতক আসামিদের আইনজীবীরা তাকে জেরা করার সুযোগ পাবেন।

এর আগে, ১০ ডিসেম্বর জবানবন্দি দেন বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহা দেন। একই দিন তদন্ত সংস্থার রেকর্ড সংরক্ষণকারী এসআই মো. কামরুল হোসেনেরও জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। সবমিলিয়ে এ মামলায় ২৫ জনের জবানবন্দি নেওয়া হয়।

৯ ডিসেম্বর ২২ নম্বর সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। জবানবন্দিতে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের পুরো ঘটনা বর্ণনা দেন তিনি। সমন্বয়কদের তুলে নিয়ে কোথায় রাখা হয়েছিল তা বলতে গিয়ে নতুন এক সেইফ হাউজের কথাও জানান।

এ মামলায় গ্রেফতার ছয়জন হলেন- এএসআই আমির হোসেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ। বাকিরা পলাতক রয়েছেন।

চলতি বছরের ২৭ আগস্ট সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ৬ আগস্ট ৩০ আসামির বিরুদ্ধে ফর্মাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

তবে এ মামলায় বেরোবির সাবেক ভিসিসহ ২৪ জন এখনও পলাতক রয়েছেন। তাদের পক্ষে গত ২২ জুলাই সরকারি খরচে চারজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়। ৩০ জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। আর ২৪ জুন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা। এ মামলায় মোট সাক্ষী ৬২ জন।

বাংলাদেশ সময়: ১২:০৫:৪১ ● ২১ বার পঠিত