
শিল্পী মইদুল ইসলাম। সঙ্গীতের শিক্ষক ও মিউচ্যুয়েল ট্রাষ্ট ব্যাংকের একজন প্রাক্তন এসএভিপি। তিনি একাধারে সরকারী প্রতিষ্ঠান নজরুল ইন্সটিটিউটের একজন স্বরলিপি সত্যায়ন কমিটির সদস্য, বিটিভির শিল্পী ও শিল্পী বাছাই কমিটির প্রতিনিধি, নজরুল অ্যাকাডেমির শিক্ষক এবং একই সাথে ছায়ানট সঙ্গীত প্রতিষ্ঠানেরও শিক্ষক। তিনি ছয় বছর মেয়াদী সঙ্গীত কোর্সের একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। সঙ্গীতে সকল পরীক্ষাতে তিনি প্রথম স্থান লাভ করেছেন এবং চূড়ান্ত পরীক্ষাতেও একই মান ধরে রাখতে সক্ষম হয়ে ছিলেন। অর্থাৎ প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন। সঙ্গীতের গ্রামার , ইতিহাস, বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীদের জীবনী, বিভিন্ন সুর ,তাল লয়, রাগ ইত্যাদি বিষয়ে অগাধ জ্ঞানের অধিকারী তিনি। তিনি মূলত নজরুল সঙ্গীত শিল্পী হলেও রাগ প্রধান বা উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতেও ভালো দখল রয়েছে তাঁর। যেহেতু তাঁকে ক্লাসে এসব পড়াতে হয়। তাছাড়া তিনি কোলকাতা এবং আগরতলাতে একাধিকবার গিয়েছেন শুদ্ধ সুরে নজরুল সঙ্গীতের উপর ওয়ার্কসপ করতে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অনেক জেলার শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে গিয়েছেন একই রকম ওয়ার্কসপ করাতে। এসব ছিল সরকারি কর্মসূচী। তিনি বাংলাদেশ বেতারেরও একজন তালিকাভূক্ত শিল্পী। তাছাড়া বাংলাদেশের সকল নজরুল সঙ্গীত শিল্পী সমন্বয়ে গঠিত নজরুল সঙ্গীত শিল্পী সংস্থারও অন্যতম একজন সদস্য। তিনি শুদ্ধ সঙ্গীত প্রসার গোষ্ঠীর একজন স্বক্রীয় সদস্যও বটে। তিনি আমাদের গ্রুপের সাংস্কৃতিক সম্পাদক হলেও ফেসবুক ভিত্তিক রঙলেপার জন্য তাঁকে আপাতত আমরা তেমন কোন কাজে লাগাতে পারছিনা । ভবিষ্যতে গুণী মানুষটির দ্বারা গ্রুপটি উপকৃত হবে বলে আশা করি। তবে রঙলেপা অন্তপ্রাণ এই মানুষটি প্রতিদিন ”রঙলেপা ভ্রমণ আলোচনা” ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে আকর্ষনীয় ছবি সহ শুভেচ্ছা দিয়ে থাকেন। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের এমন সব ছবি তিনি সংগ্রহ করে থাকেন- যা দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া।
জনাব মইদুল ইসলাম যখন সঙ্গীতের একজন ছাত্রে তখন নজরুল অ্যাকাডেমি উৎকর্ষের শিখরে পৌঁছে ছিল। তাই তাঁদের ব্যাচের ছাত্রগণ সমহিমায় সবাই সমুজ্জ্বল। তাঁদের ঘনিষ্ঠ চার ক্লাসমেট বন্ধুকে সকলে চার খলিফা নামে সম্বোধন করতো। দেশে এবং দেশের বাইরে তাঁরা বেশ পরিচিত। তাঁদের ছাত্র-ছাত্রীগণও অনেকে খ্যাতিমান হয়েছে। মইদুল ইসলামের সহপাঠী জনাব ড. রশিদুন্নবী । তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের প্রধান ছিলেন। সে সময়ে বিখ্যাত সুরকার ও সঙ্গীত শিল্পী , গনসঙ্গীতের প্রাণ জনাব লুতফর রহমান ছিলেন নজরুল অ্যাকাডেমির প্রিন্সিপাল। প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি ছিলেন কবি তালিম হোসেন। কবি তালিম হোসেনের কন্যা শবনম মুশতারি, পারভীন মুশতারি ও ইয়াসমীন মুশতারি নজরুল সঙ্গীতের বিশিষ্ঠ শিল্পী। তাঁদেরকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিতে হয়না। প্রতিষ্ঠানটির তখন সোধারণ সম্পাদক ছিলেন একটি পত্রিকার সম্পাদক জনাব শাহাদত হোসেন। শিক্ষক মন্ডলীতে ছিলেন বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী ও শুদ্ধসুরে নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপির স্রষ্টা শিল্পী সুধীন দাস। ছিলেন ওস্তাদ জাকির হোসেন, ওস্তাদ ফুল মাহমুদ, ওস্তাদ আকতার সাদমানি প্রমূখ।
কত নাম বলবো, নাম লিখলে তালিকা দীর্ঘ হয়ে যাবে। আবার না লিখলেও অসপূর্ণ থেকে যাবে। মহাসঙ্কটে পড়েছি। তাই কিছু কিছু উল্লেখ করছি। যাদের নাম উল্লেখ করা গেলো না, তাঁরাও আমাদের গর্বের। উল্লেখ করতে না পারাটাই আমার অযোগ্যতা।
এখানকার প্রায় প্রতিটি সদস্য/সদস্যা আমাদের বন্ধু হয়েছেন। আপনজন বলে মনে হচ্ছে। তা শুধু মাত্র রঙলেপার বদৌলতে। তাছাড়া বলা যায়, রঙলেপা একটি রাফখাতা। নিঃশঙ্কচিত্তে লেখার খোলা বিস্তর এক প্রান্তর। আমাদের লেখার ত্রুটিগুলো আমরা প্রশ্রয় দেই, পড়ি, এবং উপভোগ করি। কিছু কিছু ভুলত্রুটি থাকলেও আমরা বিরূপ সমালোচনা করি না। পাছে নিজেকে গুটিয়ে নেন, তাই তা করা উচিৎ মনে হয় না। তবে পরে অবশ্য বিজ্ঞ জনেরা সংশোধন করবেন এবং প্রয়োজনে পরামর্শ দিবেন। বানান ভুল তো আমার মতো কিছু কিছু লেখকের আছেই। বই আকারে কোন দিন প্রকাশ পেলে প্রুফ রিডার দিয়ে সংশোধন হয়তো করা যাবে। মোট কথা আসুন আমরা লিখি এবং পড়ি। রঙলেপার এখন বয়স হয়েছে ছয় বছর। কুদ্দুছ বয়াতীর ভাষায় আমিও বলতে চাই- ছয় বছর বয়স অইছে আর ছাড়ান নাই, ইস্কুলেতে যাইতে হবে মনে রাখা চা আ- আ –আ-আ- আই। তার মানে সবাই লিখুন, পড়ুন এবং মন্তব্য করুন। নিচে জনাব মইদুল ইসলামের একটি ছবি দিতে চাই। ছবিটির মাঝখানে জনাব মইদুল ইসলাম। বিটিভির পক্ষে কুষ্ঠিয়াতে অডিশন নিতেছেন। ( চলবে )
