হিজাব মামলায় ভারতের সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি ভাগ হয়ে গেল !

Home Page » জাতীয় » হিজাব মামলায় ভারতের সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি ভাগ হয়ে গেল !
বৃহস্পতিবার ● ১৩ অক্টোবর ২০২২


ফাইল ছবি

বঙ্গনিউজঃ   মুসলিম শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে হিজাব পরতে পারবে কিনা সে বিষয়ে রায় দিতে ব্যর্থ হয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের দুই বিচারপতি এ নিয়ে পরস্পর বিরোধী মতামত দিয়েছেন। খবর বিবিসির।

একজন বিচারপতি গত মার্চে কর্ণাটক হাইকোর্টের দেওয়া আদেশকে বহাল রেখেছেন। ওই আদেশে বলা হয়েছিল, ইসলামে হিজাব ‘অত্যাবশ্যকীয়’ নয়। অন্য বিচারপতি বলেছেন, কর্ণাটক হাইকোর্টের ওই আদেশ ভুল ছিল। হিজাব পরা যার যার ব্যক্তিগত পছন্দ ও ইচ্ছার ব্যাপার।

হিজাব ইস্যুতে ভারতে গত ১০ মাস ধরে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা ও তর্ক-বিতর্ক চলছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের মাধ্যমে এর অবসান হবে বলে আশা করা হচ্ছিল। তবে আজ বৃহস্পতিবার এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বিধা বিভক্তির ফলে ভারতে হিজাব ইস্যুতে সাধারণ মানুষ ও বিচার বিভাগে আলোচনা জিইয়ে রইল।

হিজাব নিয়ে দুই বিচারক একমত হতে না পারায় দুই বিচারপতি ভারতের প্রধান বিচারপতিকে এ বিষয়ে রায়ের জন্য উচ্চতর বেঞ্চ গঠনের আর্জি জানিয়েছেন।

বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার এজলাসে এ মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল গত ২২ সেপ্টেম্বর। সেই থেকে এই রায় সংরক্ষিত রাখা হয়। আজ সেই রায়ে বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত কর্ণাটক হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে আবেদন খারিজ করে দেন। কিন্তু বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া মুসলিম ছাত্রীদের আবেদনের যৌক্তিকতা মেনে কর্ণাটক হাইকোর্টের রায় খারিজ করেন। সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেদের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হিজাব পরা না–পরা মুসলিম ছাত্রীদের পছন্দের অধিকার। এর বেশি বা কম কিছুই নয়। আমার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মেয়েদের শিক্ষার প্রসার।’

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কর্ণাটকের একটি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে হিজাব পরিহিত মুসলিম ছাত্রীদের বসতে বাধা দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষ জানায়, ইউনিফর্মের বাইরে কাউকে অন্য কোনো পোশাক পরতে দেওয়া হবে না। সেই সিদ্ধান্ত যে বিতর্কের জন্ম দেয়, অচিরেই তা সারা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। রাজ্যের বাইরেও এর প্রভাব পড়ে। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের অনুগামীরা গেরুয়া উত্তরীয় ও চাদর পরতে শুরু করেন। হিজাবের পক্ষে–বিপক্ষে শুরু হয় আন্দোলন। কোথাও কোথাও সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে।

বিতর্কের রেশ থাকতে থাকতেই কর্ণাটকের বিজেপি সরকার বিদ্যালয়ে পোশাকসংক্রান্ত নির্দেশ জারি করে জানায়, যেখানে পোশাক বিধি আছে, সেখানে তা মানতে হবে। যেখানে নেই, সেখানে এমন কিছু পরা যাবে না, যাতে শিক্ষালয়ের পরিবেশ, শৃঙ্খলা, ঐক্য ও ভারসাম্য নষ্ট হয়। রাজ্য সরকারের দাবি, ওই নির্দেশ সাম্প্রদায়িক নয়, ধর্ম নিরপেক্ষ। রাজ্য সরকার বিদ্যালয়ে পোশাকবিধির বাইরে হিজাবের মতো গেরুয়া উত্তরীয়ও নিষিদ্ধ করে।

বাংলাদেশ সময়: ২০:৪২:৪৪ ● ২৮৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ