বৃহস্পতিবার ● ২৬ জানুয়ারী ২০২৩

ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি রুপির সর্বোচ্চ দাম পতন

Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি রুপির সর্বোচ্চ দাম পতন
বৃহস্পতিবার ● ২৬ জানুয়ারী ২০২৩


ফাইল ছবি- স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান

বঙ্গ-নিউজ:  ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি রুপির  সর্বোচ্চ অবনমন হলো আজ।  ডলারের বিপরীতে একদিনে ১০ শতাংশের বেশি মান হারিয়েছে পাকিস্তানি রুপি। পাকিস্তানের আন্তঃব্যাংক মুদ্রা বাজারে আজ প্রতি ডলার ২৫৫ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে, যা আগের দিনের তুলনায় ২৪.১১ রুপি বেশি। ডলারের বিনিময় হারে নিয়ন্ত্রণ উঠিয়ে নেওয়ার পর ঐতিহাসিক তলানিতে ঠেকেছে পাকিস্তানের মুদ্রার মান।

একদিন আগে পাকিস্তান সরকার আইএমএফের শর্ত পূরণে খোলাবাজারে মুদ্রা বিনিময়ে অনানুষ্ঠানিক নিয়ন্ত্রণ উঠিয়ে নেয়। এরপর থেকে দ্রুত নামতে থাকে পাকিস্তানি রুপির মান।

এর আগে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই আন্তঃব্যাংক বাজারে ২৩৯.৯৪ রুপিতে উঠেছিল ডলারের দাম।

এক্সচেঞ্জ কোম্পানিজ এসোসিয়েশন অব পাকিস্তানের তথ্য মতে, আজ দুপুর দেড়টা পর্যন্ত প্রতি ডলার ২৫৫ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। মার্কিন মুদ্রাটির দরবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

মেটিস গ্লোবাল জানিয়েছে, বাজারে ডলার বিক্রেতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা অনেক বেশি সংখ্যায় ডলার কেনার দিকে ঝুঁকেছে।

এর আগে আইএমএফ পাকিস্তান সরকারের আবেদিত ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার ঋণ ছাড়ের বিষয়ে নবম পর্যালোচনার শর্ত হিসেবে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সরকারি নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত বাজারভিত্তিক বিনিময় হার প্রবর্তনের কথা উল্লেখ করে।

ফরেক্স এসোসিয়েশন অব পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মালিক বোস্তান বলেছেন, যেহেতু আমরা প্রথমবারের মতো ডলারের বিনিময় হারের ওপর নিয়ন্ত্রণ তুলে নিয়েছি, তাই ফটকা কারবারিদের দাপটে বিনিময় হারের আকাশ-পাতাল ওঠানামা হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি যা-ই হোক, কেবলমাত্র বাজারে চাহিদা-সরবরাহের ওপর ভিত্তি করেই বিনিময় হার নির্ধারিত হবে।

এদিকে ডলারের বিনিময়ে রুপির দ্রুত অবনমনের জন্য পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দারের আত্মম্ভরি মনোভাব ও অদক্ষতাকে দায়ী করেছেন পিটিআই নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আসাদ উমর। তিনি বলেন, শত শত কোটি ডলার রেমিট্যান্স ও রপ্তানি হারিয়ে যাওয়া, হাজার হাজার শিল্প-ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়া, লাখ লাখ মানুষের বেকার হবার দায়িত্ব কে নেবে?

ডলারের বিপরীতে রুপির অবনমন সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে অর্থনীতিবিদ ও পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ মুহাম্মদ সাদ আলি দ্য নিউজকে বলেছেন, মনে হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের আন্তঃব্যাংক রেটকে খোলাবাজারের বিনিময় হারের কাছাকাছি আনতে ‘অ্যাডজাস্ট’ করছে। অনানুষ্ঠানিক বাজারে ডলারের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে এ পদক্ষেপ জরুরি ছিল বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০:১৫:৩৫ ● ২৫৩ বার পঠিত