ফিফায় নালিশ আর্জেন্টাইন ক্লাবের বিরুদ্ধে জামালের

Home Page » খেলা » ফিফায় নালিশ আর্জেন্টাইন ক্লাবের বিরুদ্ধে জামালের
সোমবার ● ৪ মার্চ ২০২৪


ফাইল ছবি

 

বঙ্গনিউজঃ    কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর বাংলাদেশে মেসিদের উচ্ছ্বাস-উন্মাদনা কাজে লাগিয়ে আর্জেন্টিনার ক্লাব সোল দ্য মায়ো জামাল ভূঁইয়াকে খেলার প্রস্তাব পাঠায়, যা লুফে নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়কও যোগ দেন মেসি-ম্যারাডোনার দেশের ক্লাবে। কিন্তু ছয় মাস যেতে না যেতেই সেই উচ্ছ্বাস হারিয়ে গেছে। ক্লাবটির কাছ থেকে চুক্তি অনুযায়ী অর্থ না পাওয়ায় ফিফার কাছে চিঠি দিয়েছেন। এর সঙ্গে আছে বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার ভ্রমণের দূরত্ব; সবকিছু মিলিয়ে সোল দ্য মায়ো ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া ডেনমার্কপ্রবাসী এ মিডফিল্ডার আবারও ফিরছেন বাংলাদেশের ফুটবলে। ঢাকা আবাহনীর সঙ্গে কথা প্রায় পাকাপাকি করলেও কিছু প্রক্রিয়ার কারণে চুক্তি সম্পন্ন হয়নি। সোল দ্য মায়ো ছাড়ার কারণ এবং নিজের ফিটনেস নিয়ে সমালোচনা হওয়া ছাড়া আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন জামাল ভূঁইয়া।

বঙ্গনিউজ : মেসির দেশ আর্জেন্টিনার ক্লাবে খেলতে গিয়েছিলেন। কী এমন হলো এখন সেই ক্লাবটি ছেড়ে দিচ্ছেন?
জামাল ভূঁইয়া : সোল দ্য মায়ো ছাড়ার বড় কারণ হলো বাংলাদেশ থেকে আর্জেন্টিনার দূরত্ব অনেক। ট্রাভেল করতে অনেক সময় লাগে। সেখানে যাওয়ার পর আমি ভ্রমণের সমস্যায় বেশি পড়েছি। তাই আমি চেয়েছি এশিয়ার কাছাকাছি থাকতে। এ জন্যই আর্জেন্টিনার ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

বঙ্গনিউজ : সোল দ্য মায়োর সঙ্গে আপনার কোনো সমস্যা হয়েছে?
জামাল ভূঁইয়া : না, না। কোনো সমস্যা নেই। আমি সেখানে ভালোই ছিলাম। এই মুহূর্তে আমার কাছে মনে হয়েছে আর্জেন্টিনার ক্লাবটি ছেড়ে দেওয়ার।

বঙ্গনিউজ : অনেকেই বলেছেন, আপনি যে ক্লাবে খেলতে গেছেন, সেটা নাকি অপেশাদার?
জামাল ভূঁইয়া : এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। যারা এ কথা বলেছেন, তারা কি সেখানে (আর্জেন্টিনা) গেছেন। এগুলো পুরোটাই বানানো গল্প। আমি খেলেছি; আমি জানি কতটা পেশাদার তারা।

বঙ্গনিউজ : ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার অর্থই হলো সোল দ্য মায়োতে যাওয়াটা আপনার ভুল ছিল…
জামাল ভূঁইয়া : আপনার এ কথার সঙ্গে আমি একমত হতে পারছি না। আমার জন্য আর্জেন্টিনার ক্লাবে যাওয়াটা ছিল অনেক বড় অর্জন। আর সেখানে যাওয়াটা কোনো ভুল ছিল না। এটা তো অন্যরকম অভিজ্ঞতা; যা বাংলাদেশের আর কেউই পায়নি।

বঙ্গনিউজ : শুনেছি সোল দ্য মায়ো থেকে আপনি টাকা পাননি। এ জন্য ক্লাবটি ছেড়ে দিচ্ছেন।
জামাল ভূঁইয়া : ক্লাব ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারটি ভিন্ন। হ্যাঁ, এটা ঠিক আমি সেখানে টাকা পাইনি। সে জন্য আমি ফিফার কাছে ক্লাবটির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি। ফিফা বিষয়টি দেখছে। আশা করি, শিগগির সমাধান হবে। এ বিষয়গুলো আমার এজেন্ট দেখভাল করছেন।

বঙ্গনিউজ : আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে– আর্জেন্টিনার এজেন্টের টাকা দেননি।
জামাল ভূঁইয়া : এজেন্ট তো কমিশন তখনই পাবে, যখন আমি টাকা পাব। আমি টাকা পাইনি বলে এজেন্টকে দিতে পারিনি।

---

বঙ্গনিউজ : এক বছরের চুক্তি শেষ হতে এখনও অনেক দিন বাকি। তাহলে কীভাবে সোল দ্য মায়োর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছেন?
জামাল ভূঁইয়া : এই বিষয়টি আমি পরিষ্কার করে বলতে পারব না। সবকিছু দেখভাল করছে আমার এজেন্ট। চুক্তির একটা ধারা আছে, সেখানে উল্লেখ আছে, চাইলে আমি চুক্তি বাতিল করতে পারব। কিছুদিন সময় লাগবে। এই প্রক্রিয়া শেষ হতে।

বঙ্গনিউজ : আর্জেন্টিনায় যাওয়ার পর সবাই ধরে নিয়েছে দেশের ফুটবলের অধ্যায় শেষ আপনার। পুনরায় তো ফিরে আসছেন…
জামাল ভূঁইয়া : আমি সব সময় বাংলাদেশের ফুটবলকে মিস করেছি। আমি কখনোই এমনটা মনে করিনি, বাংলাদেশের ফুটবলে আমার ক্যারিয়ার শেষ। এখন আবাহনীতে খেলার জন্য কথাবার্তা চলছে। চুক্তি এখনও করিনি। কিছুটা প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। আবাহনীতে খেলতে হলে আমাকে আর্জেন্টিনা ক্লাব থেকে ছাড়পত্র আনতে হবে। সেটা পাওয়ার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। আর চুক্তি বাতিলের বিষয় আছে। ১৪-১৫ দিন সময় লাগবে। তার পর সবকিছু ঠিক হলেই আমি আবাহনীর সঙ্গে চুক্তি করতে পারব। তার আগে নয়।

বঙ্গনিউজ : এবার জাতীয় দল প্রসঙ্গে আসি। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে আপনার টার্গেট কী?
জামাল ভূঁইয়া : অবশ্যই টার্গেট ৬ পয়েন্ট। সেটা না হলে ৪ পয়েন্ট। আমরা অ্যাওয়ে ম্যাচে যদি ড্র করি, তাহলে ঘরের মাঠে ৩ পয়েন্ট পেলে সেই লক্ষ্য পূরণ হবে। এটা যে খুব কঠিন হবে, তা আমরা জানি। কারণ ফিলিস্তিন এশিয়ান কাপে নকআউট পর্বে উঠেছিল।

বঙ্গনিউজ : তিন মাসের বেশি সময় আপনি খেলার মধ্যে নেই। অনেকেই আপনার ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
জামাল ভূঁইয়া : সবাই বলেছে আমি খেলার মধ্যে নেই, আমাকে কেন দলে নিয়েছে। এটা ভুল। আমি কিন্তু অনুশীলনের মধ্যে ছিলাম। আমার এক পরিচিতর মাধ্যমে ওমান ক্লাবে ১৫ দিন অনুশীলন করেছি। তাহলে আমার ফিটনেসের ঘাটতি কোথায়?

বাংলাদেশ সময়: ১১:৪৪:৩৪ ● ৭১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ