শুক্রবার, ২০ মে ২০১৬

শ্যামল কান্তি : স্বেচ্ছায় না, সাংসদই বলেছেন কান ধরতে

Home Page » এক্সক্লুসিভ » শ্যামল কান্তি : স্বেচ্ছায় না, সাংসদই বলেছেন কান ধরতে
শুক্রবার, ২০ মে ২০১৬



yyy-3-550x330.jpgবঙ্গ-নিউজঃ নারায়ণগঞ্জের সাংসদ সেলিম ওসমান সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, শ্যামল কান্তি ভক্ত জনরোষ থেকে বাঁচতে স্বেচ্ছায় কান ধরে ওঠবস করেছেন। সাংসদের এমন বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের সেই শিক্ষক। তিনি বলেছেন, “সেদিন সেলিম ওসমান তাঁর দুই গালে দুটি করে চারটি চড় মারেন। এরপর ধমক দিয়ে বলেন, ‘শালা কানধর’।”

ইসলাম ধমর নিয়ে কটূক্তির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন শ্যামল কান্তি ভক্ত। তিনি জানান, ইসলাম ধর্ম নিয়ে কোনো কটূক্তি করিনি। সেদিনের পুরো ঘটনাই সাজানো।

ঘটনার দিনের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় কয়েকজন আমাকে পেটায়। এরপর বিকেলে স্থানীয় সাংসদ সেলিম ওসমান ঘটনাস্থলে আসেন। আমায় একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল। সাংসদ সেই ঘরে ঢুকে কোনো কথা না বলে দুটি করে মোট চারটি চড় মারেন। এরপর ঘর থেকে বের করে সবার সামনে সেলিম ওসমান বলেন, ‘শালা কান ধর। ১০ বার ওঠবস কর।”

ওই শিক্ষক বলেন, ‘আমি ধর্ম নিয়ে কোনো কটূক্তি করিনি। সাজানো হয়েছে ঘটনাটি। আমাকে স্কুল থেকে বের করতেই এসব ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।’

সেলিম ওসমান বলেছেন, কটূক্তি বিষয়ে তার কাছে প্রমাণ আছে। এ বিষয়ে কী বলবেন। এ ব্যাপার শ্যামল কান্তি বলেন, ‘আমার স্ত্রী হাসপাতালেই আছেন। তাকে জিজ্ঞেস করুন। এগুলো একেবারে ভিত্তিহীন কথা। যেই সাংসদ শিক্ষকের গায়ে হাত তোলেন, তাকে যেন বরখাস্ত করা হয়।’

এক শিক্ষার্থীকে মারধর ও ‘ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তির’ অভিযোগে গত শুক্রবার শ্যামল কান্তিকে স্থানীয় সাংসদের উপস্থিতিতে মারধর ও কানে ধরে ওঠবস করানো হয়। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি। বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি বাতিল করে শ্যামল কান্তিকে স্বপদে বহাল রাখার ঘোষণা দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৩১:৩০   ৫৯১ বার পঠিত