 বঙ্গ-নিউজঃ বন্যার সময় টিভি, পত্রিকা—সব জায়গাতেই চোখে পড়ছে দেশের বন্যাপীড়িত  মানুষদের দুর্দশার ছবি। অসহায় শিশু ও নারীদের অমানবিক জীবনযাপন। পানিবাহিত  বিভিন্ন সংক্রামক রোগসহ নানান কারণে বন্যাপীড়িত মানুষদের মাঝে দেখা দিচ্ছে  মারাত্মক স্বাস্থ্যবিপর্যয়, বিশেষ করে শিশুরা রয়েছে চরম ঝুঁকিতে। অনেক  জায়গায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। কিন্তু বন্যার পানি কমতে শুরু করার  সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে শুরু করে রোগব্যাধি। ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, চর্মরোগসহ  নানা ধরনের ব্যাধিতে এখন আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।বন্যায় পানিবাহিত রোগ ও সচেতনতা
বঙ্গ-নিউজঃ বন্যার সময় টিভি, পত্রিকা—সব জায়গাতেই চোখে পড়ছে দেশের বন্যাপীড়িত  মানুষদের দুর্দশার ছবি। অসহায় শিশু ও নারীদের অমানবিক জীবনযাপন। পানিবাহিত  বিভিন্ন সংক্রামক রোগসহ নানান কারণে বন্যাপীড়িত মানুষদের মাঝে দেখা দিচ্ছে  মারাত্মক স্বাস্থ্যবিপর্যয়, বিশেষ করে শিশুরা রয়েছে চরম ঝুঁকিতে। অনেক  জায়গায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। কিন্তু বন্যার পানি কমতে শুরু করার  সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে শুরু করে রোগব্যাধি। ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, চর্মরোগসহ  নানা ধরনের ব্যাধিতে এখন আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।বন্যায় পানিবাহিত রোগ ও সচেতনতা
দেশের বিভিন্ন  জায়গায় বন্যার কারণে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে ডায়রিয়া,  কলেরা, টাইফয়েডসহ নানা রোগ সৃষ্টি হচ্ছে। পানি যখন নেমে যায়, তখন এসব  রোগবালাই বেশি দেখা দেয়। এ সময় সুষ্ঠু পানিনিষ্কাশনব্যবস্থার অভাবে এ  স্বাস্থ্যসমস্যা প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। যখন পানি থাকে তখন  পানিপ্রবাহের কারণে জীবাণুর আক্রমণ ঘটতে পারে না।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী  মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ  চন্দ্র রায় বলেন, অনেকেই নদীর আশপাশে খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করে।  মানুষের এ পয়োবর্জ্য এবং ওই এলাকার বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা মিলে জলাশয়ের পানি  দূষিত হয়ে পড়ে। লোকজন তখন যদি এসব জলাশয়ের পানি বিশুদ্ধ না করে পান করে,  খাবারের কাজে ব্যবহার কিংবা থালাবাসন ধোয়া, কাপড় কাচা ইত্যাদি কাজে ব্যবহার  করে, তখন ডায়রিয়া বা পানিবাহিত রোগবালাই হতে পারে। দেশের সব জায়গায়  পানিবাহিত রোগ একসঙ্গে ছড়ায় না। একই সঙ্গে সব মানুষ রোগে আক্রান্তও হয় না।  ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কতটুকু, তার শরীরে কতগুলো জীবাণু প্রবেশ করল  এবং সে কী ধরনের পরিবেশে থাকে, রোগ হওয়ার হার—এসবের ওপর নির্ভর করে।
আমাদের  শরীর যদি এ তিনটির ভারসাম্য রক্ষা করতে না পারে, তখন সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।  ডায়রিয়া মূলত পানিবাহিত রোগ। খাবারের মাধ্যমে এ জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে।  তবে বন্যা বা বন্যাকালীন মূলত দূষিত পানি পান আর অপরিচ্ছন্নতার কারণেই  রোগবালাই বেশি হয়।
চিকিৎসা ও করণীয়
ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে পানি ও লবণ  বেরিয়ে যায়৷ লবণ ও পানির অভাব পূরণ করাই এর একমাত্র চিকিৎসা। শরীর থেকে যে  পরিমাণ পানি বেরিয়ে যায়, তা যদি দ্রুত ফিরিয়ে আনা সম্ভব না হয়, মানুষ তখনই  অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং শরীরে লবণ-পানির ঘাটতি দেখা দিলে মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা  থাকে। সময়মতো লবণ-পানি শরীরে ফিরিয়ে দেওয়া গেলে মৃত্যুভয় থাকে না। ডায়রিয়ায়  আক্রান্ত রোগীকে খাওয়ার স্যালাইন, ভাতের মাড় বা অন্য বিশুদ্ধ পানীয় পান  করালে শরীরে লবণ-পানির ঘাটতি কমবে। শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করবেন  না। যে বয়সের জন্য যে খাবার স্বাভাবিক, তা–ই খাওয়াতে হবে। অবস্থার উন্নতি  না হলে দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
রোগীকে সব সময়  পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। বাসায় বা হাসপাতাল যেখানেই চিকিৎসা নেন, সে  জায়গা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। খাবার সব সময় ঢেকে রাখতে হবে। মশা-মাছি  কলেরা ও ডায়রিয়া রোগের জীবাণু ছড়ায়। খাবার ঢেকে রাখলে কলেরা ও ডায়রিয়া  হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। পচা বা বাসি খাবার খাওয়া এবং বন্যার পানিতে মল ত্যাগ  করা যে ক্ষতিকর, সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন করে তুলুন৷ প্রতিদিন খাবারের  আগে ও পায়খানা থেকে ফেরার পর সাবান দিয়ে দুই হাত ভালো করে ধুতে হবে। সাবান  না থাকলে ছাই, মাটি বা পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। ডায়রিয়া প্রতিরোধ  করা খুবই সহজ। তাই সচেতন থাকলেই ডায়রিয়া বা এ ধরনের পানিবাহিত মারাত্মক রোগ  এড়ানো সম্ভব।
যেভাবে নিজেকে প্রস্তুত রাখবেন
পানির কারণেই রোগ হয়  বলে আগে থেকেই বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করে রাখা উচিত। এতে দুর্যোগের সময় ও  পরবর্তী সময়ে এই পানি ব্যবহার করা যাবে। পানি সংগ্রহ করা না গেলে পানি  বিশুদ্ধ করার উপকরণ যেমন বিশুদ্ধকরণ বড়ি, পানি ফোটানোর জন্য জ্বালানি  ইত্যাদি ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া সাবান, পরিষ্কার পানির পাত্র ইত্যাদিও  সংগ্রহ করতে হবে। এই সময়ে যেসব ওষুধ সঙ্গে রাখতে পারেন, প্যারাসিটামল,  মেট্রোনিডাজল, টেট্রাসাইক্লিন, কৃমিনাশক বড়ি এবং বেনজাইল বেনজোয়েট মলম  চর্মরোগের জন্য।
পানি বিশুদ্ধ করবেন যেভাবে
যেহেতু দূষিত পানি ও  অপরিচ্ছন্নতার কারণে এ রোগ হয়, তাই কষ্ট করে হলেও বিশুদ্ধ পানি পান ও  ব্যবহার করতে হবে। টিউবওয়েলের বিশুদ্ধ পানি পাওয়া না গেলে বিভিন্ন জলাশয়ের  পানি পান ও ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে জলাশয়ের পানি পান ও খাওয়ার কাজে  ব্যবহার করতে চাইলে ফুটিয়ে পান করতে হবে। জলাশয়ের পানি ১০ মিনিট ফুটিয়ে  কিছুক্ষণ রেখে দিলে এর বেশির ভাগ জীবাণু মরে যায়। পানি ফোটানোর পর ঠান্ডা  করে কিছুক্ষণ রেখে দিলে দৃশ্যমান জীবাণু নিচের তলানিতে পড়ে যায়। তলানি ফেলে  দিয়ে ওপরের পানি ব্যবহার করা যাবে। তবে প্রতিকূল পরিবেশ ও অন্যান্য কিছু  কারণে সব জায়গার পানি ফোটানো সম্ভব হয় না। সেসব জায়গায় পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি  ব্যবহার করা যেতে পারে।
এই সময়ে নানা চর্ম সমস্যা
বন্যার পানিতে গোসল কিংবা  গায়ে লাগানো থেকে যতটুক পারুন বিরত থাকুন। কেননা এই পানি বিভিন্ন জীবাণুর  ধারক ও বাহক। তাই এই পানির স্পর্শে বিভিন্ন চর্মরোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। সব  সময় পানির সংস্পর্শে থাকার জন্য হাতে–পায়ে স্যাঁতসেঁতে ও ভেজা আবহাওয়ার  কারণে ত্বক বা ত্বকের খোসপাঁচড়া, ফাঙ্গাল ইনফেকশন, প্যারনাইকিয়া, স্ক্যাবিস  জাতীয় নানা ধরনের ত্বকের অসুখ হয়ে থাকে৷
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ  হাসপাতালের চর্ম ও যৌন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাসুদা খাতুন বলেন, এই সময়ে  যে কটি চর্মরোগ সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, তার মধ্যে ছত্রাকজনিত চর্মরোগ  অন্যতম। এ সমস্যা এড়াতে হলে গায়ে ভেজা কাপড় রাখবেন না, হাত–পা ভালো করে  ধুয়ে শুকনা কাপড়ে মুছে রাখবেন।
এ সময়ে ছত্রাকজনিত দাদ, ছুলি,  ক্যানডিডিয়াসিস হতে পারে। এদের মধ্যে ছুলির কারণে ত্বকে দেখতে সাদা হয়। তাই  অনেকেই আবার একে শ্বেতী ভাবতেও শুরু করেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে শ্বেতীর  সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। তবে সাবধানতা অবলম্বন করলে এই সমস্যা থেকে  সহজেই পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
বন্যায় ডুবে যাওয়া টিউবওয়েলের পানি পুনরায় খাওয়ার আগে যা করবেন
যেসব  টিউবওয়েল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা ডুবে গিয়েছিল, সেগুলোর পানি  ডিসইনফেকশন না করে কোনো অবস্থাতেই পান করবেন না। নিজেরাই করতে পারেন এই  কাজ। ১০০ গ্রাম ব্লিচিং পাউডারের সঙ্গে দেড় থেকে দুই লিটার পরিমাণ পানি  একটি জগ বা পাত্রে ভালো করে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এরপর টিউবওয়েলের মূল  অংশটি পাইপ থেকে খুলে পাইপের মধ্যে সেই মিশ্রণটি ঢেলে দিন। এবার ১৫-২০  মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর টিউবওয়েলের মূল অংশটি লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট,  প্রয়োজনে আরও বেশি সময় ধরে হাতল চাপতে থাকুন। তাহলে সেই টিউবওয়েলের পানি  পানের জন্য নিরাপদ হবে। মনে রাখবেন, কোনো ক্রমেই বন্যায় ডুবে গিয়েছিল এমন  টিউবওয়েলের পানি ঠিকমতো শোধন না করে পান করবেন না। এতে পানিবাহিত রোগ হওয়ার  আশঙ্কা অনেক বেশি।
সাপে কাটলে
বন্যায় বিষাক্ত পোকামাকড় যেমন সাপ,  ব্যাঙ ইত্যাদি তাদের আবাস হারিয়ে উঁচু জায়গা খুঁজতে থাকে, আর ঢুকে পড়ে  মানুষের আবাসস্থলে। তখনই ঘটে সাপে কামড়ানোর ঘটনা। তবে কার্বলিক অ্যাসিডের  বোতলের ছিপি খুলে ঘরের কোণে রাখলে ঘরে সাপ ঢুকবে না। ঘরের চারপাশে পানি এলে  বেড়া বা দেয়ালের ধার ঘেঁষে ওষুধ ছিটাতে হবে। এতে ব্যাঙ ও বিভিন্ন রকম  বিষাক্ত পোকামাকড় ঘরে ঢুকতে পারবে না।
আর বিষধর সাপের কামড়ে অধিকাংশ  ক্ষেত্রেই মৃত্যুর মূল কারণ সচেতনতার অভাব। ওঝা বা বেদের মাধ্যমে  অবৈজ্ঞানিক উপায়ে চিকিৎসা করা, রোগীকে হাসপাতালে আনতে দেরি করা এবং  বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে চিকিৎসা না করানোর ফলে অনেক প্রাণ অকালে ঝরে যায়।
যা করবেন
সাপে কাটলে আতঙ্কিত না হয়ে নিরাপদ স্থানে  বসে থাকুন। আক্রান্ত অঙ্গ নাড়াচাড়া করবেন না। একটি লম্বা কাঠ ও কাপড়ের  সাহায্যে আক্রান্ত স্থানটি বেঁধে ফেলুন। খুব বেশি শক্ত করে বাঁধবেন না, এতে  রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমনভাবে বাঁধতে হবে, যেন আক্রান্ত অঙ্গ ও  কাপড়ের মাঝে কষ্ট করে একটি আঙুল ঢোকানো যায়।
আক্রান্ত স্থানে প্রচণ্ড  ব্যথা অনুভব করলে, রক্তক্ষরণ হলে, চোখের পাতা পড়ে গেলে, ঘাড় শক্ত রাখতে না  পারলে, হাত-পা অবশ হয়ে এলে ও শ্বাসকষ্ট হলে একটুও দেরি না করে রোগীকে  হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
সাধারণত নির্বিষ সাপের কামড়ে আক্রান্ত স্থানে  সামান্য ব্যথা, ফুলে যাওয়া বা অল্প ক্ষত সৃষ্টি হয়ে থাকে। তবে এসব লক্ষণ  থাকলেও ঝুঁকি নেওয়া ঠিক নয়, যেকোনো রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত। মনে  রাখবেন, সাপ কামড়ানোর চিকিৎসা শুধু হাসপাতালেই করানো সম্ভব, অন্য কোথাও নয়।
যা করবেন না
* আক্রান্ত স্থান কাটা
* দড়ি দিয়ে খুব শক্ত করে বাঁধা
* আক্রান্ত স্থান থেকে মুখের সাহায্যে রক্ত বা বিষ টেনে বের করার চেষ্টা করা
* আক্রান্ত স্থানে গোবর, শিমের বিচি, আলকাতরা, ভেষজ ওষুধ বা কোনো প্রকার রাসায়নিক লাগানো
* অ্যান্টিহিস্টামিন ইনজেকশন প্রয়োগ করা
* কার্বলিক অ্যাসিড জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে দংশিত জায়গা পোড়ানো
* গাছ–গাছড়ার রস দিয়ে প্রলেপ দেওয়া
ছত্রাক থেকে দূরে থাকা যায় কীভাবে
ত্বকে ফাঙ্গাস  বেড়ে ওঠার পরিবেশ সৃষ্টি হলে সেখানে ফাঙ্গাস বেড়ে উঠতে চেষ্টা করবে। তাই  ফাঙ্গাস প্রতিরোধে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে সেগুলো হচ্ছে পা, আঙুলের  ফাঁক, যৌনাঙ্গ ও এর পাশের ত্বক, নখের গোড়া ভালো করে সাবান দিয়ে পরিষ্কার  করতে হবে। আর ত্বক পরিষ্কার বা ধোয়ার পর শুষ্ক টাওয়েল দিয়ে ভেজা স্থান মুছে  শুষ্ক করে ফেলতে হবে। বিশেষ করে আঙুলের ফাঁক, ঊরুসন্ধির ভাঁজ, বগল, ঘাড়,  মাথার চুল ইত্যাদি পুরোপুরি শুকনো না করলে সেখানে ফাঙ্গাস বেড়ে উঠতে পারে।
এই সময়ের সচেতনতা
জামাকাপড় ভিজে গেলে দ্রুত পাল্টে নিন। ভেজা কাপড় পরে থাকলে ছত্রাক সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি।
নিয়মিত  প্রয়োজনে দিনে দুবার গোসল করুন। জীবাণুনাশক সাবান ব্যবহার করতে পারেন।  ঘামে বা বৃষ্টিতে বা বন্যার পানিতে ভিজলে ত্বক ধুয়ে শুকিয়ে নিন।
রাস্তায়  বা বাড়ির আশপাশে এখন যত্রতত্র নোংরা পানি জমে আছে। পায়ের ত্বককে এই নোংরা  পানি থেকে বাঁচিয়ে রাখুন। কেননা এই পানিতে রয়েছে হাজার রকমের জীবাণু।
বাড়িতে কারও ছত্রাক সংক্রমণ হয়ে থাকলে শিশুদের তার কাছ থেকে দূরে রাখুন।
স্ক্যাবিস বা খোসপাঁচড়া
এটি ত্বকের ছোঁয়াচে রোগ। যে  কেউ যেকোনো সময় এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে এই সময়ে অর্থাৎ বন্যাকালীন  এর প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। একজন আক্রান্ত হলে পুরো পরিবার এমনকি  ঘনবসতিপূর্ণ ঘরে একত্রে বসবাস করলে তাদের মধ্যে যে কেউ এ রোগে আক্রান্ত হতে  পারে। চুলকানি হলো প্রধান উপসর্গ আর রাতে সেই চুলকানি কয়েক গুণ বেড়ে যায়।  এমনকি ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে ঘা হতে পারে। অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপন, এই রোগে  আক্রান্ত রোগীর সঙ্গে একসঙ্গে বিছানায় শুইলে কিংবা ব্যবহার করা কাপড় অন্য  কেউ ব্যবহার করলে খুব সহজেই এ রোগ ছড়াতে পারে। কারণ, জীবাণুটি ব্যবহৃত  কাপড়ের মধ্যে দুই দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। শিশু-কিশোরেরাই এ রোগে  বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।
অন্যান্য রোগও কম-বেশি হয়ে থাকে। তবে কিছু  সাধারণ নিয়মকানুন যেমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, নিয়মিত গোসল ইত্যাদি মেনে  চললে এসব রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে।
লেখক: চিকিৎসক
 বাংলাদেশ সময়: ১:০৭:০০   ৮৪২ বার পঠিত   #bangla news  #bangla newspaper  #bangladesh news  #bd news  #daily newspaper  #World News