রবিবার ● ২১ জানুয়ারী ২০২৪

মাথা ঘোরার সমস্যা কেন হয়

Home Page » প্রথমপাতা » মাথা ঘোরার সমস্যা কেন হয়
রবিবার ● ২১ জানুয়ারী ২০২৪


মাথা ঘোরার সমস্যা কেন হয়

মাথা ঘোরা বা ভারটাইগো এমন এক অবস্থা, যেখানে মনে হয় আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেই ঘুরছেন বা তাঁর চারপাশ ঘুরছে। মাথা তুলতেই পারেন না অনেকে। সঙ্গে থাকে বমি বমি ভাব ও বমি।

মাথা ঘোরার রয়েছে নানা কারণ বিনাইন প্যারোক্সিমাল পজিশনাল ভারটাইগো (বিপিপিভি)
এটি খুব গুরুতর নয়। চিকিৎসায় পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি হঠাৎ করে মাথা কোনো একদিকে বা একটি নির্দিষ্ট দিকে ফেরালে মাথা ঘোরা শুরু হয়ে যায়।

অন্তঃকর্ণের প্রদাহ
সাধারণত ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া অন্তকর্ণে সংক্রমণের ফলে মাথা ঘোরা দেখা দিতে পারে। এতে হঠাৎ করেই মাথা ঘোরা শুরু হয়। পাশাপাশি শ্রবণশক্তি হ্রাস পেতে পারে।

মেনিয়ার্স ডিজিজ
এটিও কানের একটি রোগ। তিনটি উপসর্গ থাকে একসঙ্গে– মাথা ঘোরা, কানের মধ্যে ভোঁ ভোঁ শব্দ করা ও শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া। আক্রান্তরা কিছুদিন পুরোপুরি সুস্থ থাকেন।

অ্যাকোয়াস্টিক নিউরোমা
এটি স্নায়ুর টিউমার। এ ছাড়া সেরেবেলার রক্তক্ষরণ, মাল্টিপল স্টেরোসিস, মাথায় আঘাত, মাইগ্রেনেও হতে পারে মাথা ঘোরা।

চিকিৎসকের যখন প্রয়োজন
বেশির ভাগ মাথা ঘোরাই মারাত্মক নয়। যদিও মাথা ঘোরার কারণে স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটে। তারপরও মাথা ঘোরা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ, মাথা ঘোরার পেছনে গুরুতর কিছু কারণও আছে। চিকিৎসক পরীক্ষা করে দেখবেন, কী কারণে মাথা ঘোরার সমস্যা দেখা দিয়েছে। মাথা ঘোরার সঙ্গে তীব্র মাথাব্যথা, একটি জিনিস দুটি দেখা, হাঁটতে সমস্যা হওয়া, কথা জড়ানো বা স্পষ্ট না হওয়া, শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিলে দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিতে হবে।

মাথা ঘোরার চিকিৎসা
বিপিপিভি হলে সাধারণত ওষুধের প্রয়োজন পড়ে না। যদি সমস্যা খুব বেশি হয়, তাহলে প্রোমেথাজিন ও মেকিজিন সেবন করা যেতে পারে। অবশ্যই তা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী। মাথা ঘোরা শুরু হলে এসব ওষুধ সেবন না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই ভালো। কারণ, এতে চিকিৎসকের পক্ষে রোগ নির্ণয় করা সহজ হয়। ওষুধ সেবন করে চিকিৎসকের কাছে গেলে রোগ নির্ণয় করতে সময় লাগে। বিপিপিভি আক্রান্তদের জন্য কিছু ফিজিওথেরাপি আছে। ভেস্টিবুলার রিহ্যাবিলিটেশন এক্সারসাইজ, যা এপলি ম্যানুভার নামে পরিচিত। অন্তকর্ণের প্রদাহের কারণে মাথা ঘোরা হলে অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের প্রয়োজন পড়ে। মেনিয়ার্স ডিজিজে আক্রান্তদের জন্যও চিকিৎসা আছে। তবে তাদের লবণ কম খেতে হবে।

লেখক : বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩৫:১৮ ● ১৪০ বার পঠিত