পেপ-ক্লপ দ্বৈরথের ইতি

Home Page » খেলা » পেপ-ক্লপ দ্বৈরথের ইতি
মঙ্গলবার ● ১২ মার্চ ২০২৪


 ফাইল ছবি

বঙ্গনিউজঃ    শেষ বাঁশি বাজতেই একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন। প্রিমিয়ার লিগে শেষবারের মতো মুখোমুখি হয়েছেন বলেই হয়তো তাদের এই আন্তরিকতাভরা কুশল বিনিময়। এমনকি ম্যাচ শুরুর আগেও একে অপরের সঙ্গে আলিঙ্গন করেছিলেন। আলোচিত এ শেষ দেখায় ইয়ুর্গেন ক্লপ ও পেপ গার্দিওলার কেউই জয়ের মুখ দেখেননি। অ্যানফিল্ডে ১-১ গোলে ড্র হয়েছে লিভারপুলের সঙ্গে ম্যানচেস্টার সিটির লড়াই। তবে গার্দিওলার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বললেও পরে রেফারিকে ধুয়ে দিয়েছেন লিভারপুল বস ক্লপ। নিশ্চিত পেনাল্টি না দিয়ে রেফারি তাদের জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ জার্মান কোচের।

মৌসুম শেষে লিভারপুল ছাড়ছেন ক্লপ। তাতে গার্দিওলার সঙ্গে তাঁর যে দীর্ঘ দ্বৈরথ, সেটারও ইতি ঘটতে চলেছে। রেফারিদের ওপর ক্ষোভ উগড়ে দেওয়ার মাঝেই গার্দিওলার সঙ্গে দ্বৈরথ নিয়ে কথা বলেছেন ক্লপ, ‘অবসরের পর তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্বটা আরও ঘনিষ্ঠ করে নেব।’

অবশ্য ম্যাচ শুরুর আগেই তাদের সুসম্পর্কটা টের পাওয়া গিয়েছিল। ক্লপ বলেছিলেন, ‘ফলাফল যাই হোক, আমার মনে হয় না আমাদের দু’জনের কারোই শ্যাম্পনের বোতল খোলা উচিত হবে।’

দু’জনই সময়ের সেরা কোচ। তাদের এ দ্বৈরথে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে প্রিমিয়ার লিগ। ক্লপ লিভারপুলে যোগ দিয়েছেন ২০১৫ সালে। তার পরের বছরই ম্যানসিটিতে যোগ দেন গার্দিওলা। এর পর থেকে প্রিমিয়ার লিগে এই দু’দল, আরও সুনির্দিষ্ট করে বললে এ দুই কোচের লড়াই চলছে। গত ছয় মৌসুম দু’দলের মধ্যেই লিগ শিরোপা ভাগাভাগি হয়েছে। যদিও সেখানে পাঁচবার জিতে একাধিপত্য গার্দিওলার। তবে গত মৌসুম ছাড়া শিরোপা লড়াই এ দু’জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।

দু’জনের শেষ লড়াই অ্যানফিল্ডে হলেও কাগজ-কলমে গার্দিওলার সিটিই এগিয়ে ছিল। এর বড় কারণ ইনজুরিতে জর্জরিত অবস্থা ক্লপের লিভারপুলের। তবে তরুণদের নিয়েও দাপট দেখিয়েছে লিভারপুলই। তাই তো রোববার হার এড়াতে পেরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন গার্দিওলা, ‘আমরা জানতাম ১০-১৫ মিনিটের একটা সুনামি আসবে। তখন আমাদের টিকে থাকতে হবে। কঠিন লড়াই হয়েছে। এটা এমন একটি ম্যাচ, যেখানে এককভাবে কারও নিয়ন্ত্রণ ছিল না।’

এই দ্বৈরথের জন্য লিভারপুলেরও প্রশংসা করেছেন তিনি, ‘লিভারপুলকে অবশ্যই কৃতিত্ব দিতে হবে। এই দ্বৈরথের জন্য তারা যা করেছে সেটা অবিশ্বাস্য, আজ তারা সেটা আবারও প্রমাণ করেছে। আমি জানি, এখানে এসে জেতাটা কত কঠিন।’

ম্যাচের শেষ দিকে সুনামির মতো সিটির সীমানায় আছড়ে পড়েছিলেন সালাহ, ম্যাক অ্যালিস্টাররা। তখন রেফারি একটি পেনাল্টি না দেওয়ায় বেশ ক্ষেপেছেন ক্লপ। যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে সিটির বক্সের ভেতর ম্যাক অ্যালিস্টারের বুকে বুট দিয়ে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেন জেরেমি ডোকু। এ ধরনের ফাউলে সাধারণত পেনাল্টি হয়। কিন্তু মাঠের রেফারি বাঁশি বাজাননি, এমনকি ভিএআরের দায়িত্বে থাকা রেফারিও ফাউলটা খতিয়ে দেখার জন্য মাঠের রেফারিকে বলেননি। যে কারণে ক্ষুব্ধ ক্লপ প্রশ্ন করেন, ‘ভিএআর কক্ষে থাকা লোকটা লাঞ্চে কী খেয়েছিল?’

বাংলাদেশ সময়: ১১:৫৬:৩০ ● ৬০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ