
বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে মানুষকে ঠেলে পাঠানো (পুশ ইন) অব্যাহত রেখেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গত শুক্রবারও কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সীমান্ত দিয়ে ৯ জনকে ঠেলে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে গত ২৪ দিনে বিএসএফ ১ হাজার ১৪৩ জনকে ঠেলে পাঠাল।
বিজিবি সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ মে থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত ১৮টি জেলার সীমান্ত দিয়ে ১ হাজার ১৪৩ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ। এর মধ্যে খাগড়াছড়িতে ১৩২ জন, সিলেটে ১১৫ জন, মৌলভীবাজারে ৩৮০ জন, হবিগঞ্জে ৪১ জন, সুনামগঞ্জে ১৬ জন, কুমিল্লায় ১৩ জন, ফেনীতে ৫২ জন, কুড়িগ্রামে ৯৩ জন, লালমনিরহাটে ৮৫ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ১৯ জন, পঞ্চগড়ে ৩২ জন, দিনাজপুরে ১৫ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৭ জন, কুষ্টিয়ায় ৯ জন, মেহেরপুরে ৩০ জন, চুয়াডাঙ্গায় ১৯ জন, ঝিনাইদহে ৫২ জন এবং সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ২৩ জনকে ঠেলে পাঠানো হয়
যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে পুশ ইন করায় বিএসএফের সাথে বিভিন্ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মৌখিক ও লিখিতভাবে জোরালো প্রতিবাদ জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ ছাড়া পুশ ইন রোধে বিজিবি সীমান্তে গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল তৎপরতা বৃদ্ধি করে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজিবি জানায়, এ ব্যাপারে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সীমান্ত পিলার ৮৫/১০-এসের কাছে বিজিবি চরচিলমারী কোম্পানি ও ১৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের জলঙ্গি কোম্পানি কমান্ডারের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে বিজিবি পুশ ইনের বিষয়ে প্রতিবাদ জানায়। তবে বিএসএফ তাদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে। তবে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটলে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হস্তান্তর করা হবে বলে উল্লেখ করেছে বিএসএফ।