
বঙ্গনিউজ: জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নিবন্ধনের জন্য ৪৩ হাজার ৩১৬ পাতার ডকুমেন্টস ট্রাকে করে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিলেও প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেনি দলটি। ইসি জানায়, এনসিপিসহ প্রায় সব নতুন দলকেই নিবন্ধনের শর্তপূরণে ঘাটতি থাকায় ১৫ দিনের সময় দেওয়া হচ্ছে সংশোধনী জমা দেওয়ার জন্য।
আজ অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ জানান, প্রথম ধাপে ৬২টি দলকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। এসব দলের আবেদনে ঘাটতি রয়েছে, যা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পূরণ না করলে আবেদন বাতিল হয়ে যেতে পারে। পরবর্তী ধাপে আরও কিছু দলকে এ ধরনের চিঠি পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে নিবন্ধনের জন্য নির্ধারিত শর্ত পূরণে প্রয়োজনীয় নথিপত্র– গঠনতন্ত্র, কার্যকর কমিটি, সদস্য তালিকা, কেন্দ্রীয় অফিসের ঠিকানা, দলীয় ব্যাঙ্ক হিসাব ও শতাধিক উপজেলা থেকে ভোটারের সমর্থনের প্রমাণসহ সব ধরনের নথিপত্র জমা দেয় এনসিপি। এসব কাগজপত্র সংগ্রহ করে ট্রাকযোগে নির্বাচন কমিশনে নিয়ে যায় দলটি।
নথিপত্র জমা দেওয়ার সময় এনসিপির প্রধান আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, “নিবন্ধনের জন্য যেসব কাগজপত্র দরকার, তার সবকিছুই আমরা নিয়ম মেনে জমা দিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, ইসি সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে আমাদের নিবন্ধনের সুযোগ দেবে।”
ইসির নিবন্ধনের প্রধান শর্তসমূহ:
১. সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয় থাকতে হবে দলটির।
২. কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ জেলাতে কার্যকর কমিটি থাকতে হবে।
৩. ১০০ উপজেলা বা মেট্রোপলিটন থানায় ২০০ ভোটারের সমর্থন সংবলিত দলিল দিতে হবে।
৪. দলীয় প্যাডে দরখাস্তের সঙ্গে গঠনতন্ত্র, ইশতেহার (যদি থাকে), নিয়মাবলি, লোগো, পতাকা, কেন্দ্রীয় কমিটির তালিকা, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও হালনাগাদ ব্যালেন্স জমা দিতে হবে।
বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫০টি। নতুন দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় এনসিপি বেশ আগ্রহী একটি দল হিসেবে আবির্ভূত হলেও এই ধাপে বাদ পড়া দলটির জন্য কিছুটা হতাশাজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
তবে সংশোধনীর সুযোগ থাকায় এনসিপির নেতারা আশাবাদী যে ঘাটতি পূরণ করে পুনরায় নিবন্ধনের প্রক্রিয়ায় তারা টিকবে।