
পড়ন্ত বেলায় কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে
ভাঙাহাটে কড়ি বর্গার ভগ্ন স্মৃতি।
ঝড়ে পড়ে প্লাস্টার, পীত নোনা ইট
চৌগাছার প্রান্তে, রূপকথার মিঞা বাড়ি।
রগেরপাড়ে দুবলা ভরা শিড়িবেয়ে উঠতেই
খাঁ খাঁ করে পাজর, দগ্ধ পোড়া হৃদয়।
একদা মধুময় ধ্বনিত হত মায়ার দোয়ার
শ্যামল ছায়ায় নীলগাই হরিণ হত উন্মুখ।
উজ্জ্বল আকাশ কাস্তের মতো বর্নিল চাঁদ
শোরগোল করে উঠতাম, ঢেঁকিশালার জারি গান।
শ্বেত পাথরের আলমারি কচমচ শব্দ
কুলীন পাড়ার ঐতিহ্যের প্রাণ৷
সাধটা আলাদা,পদ্ম পাতার ঝোলে ভরা রসগোল্লা
খেজুরের সন্ধ্যা রস, তার সাথে মচমচে মুড়ি।
দিবানিশি সাপ লুডু, খেলা গল্প সল্পে মেলা
রুদ্র মাথামহির কচকচানি বকবকানি।
পশ্চিম দিকে দৃষ্টিতেই শিউরে ওঠে মন
হাজার বাদুর উড়ে যায়, ঝরা পাতার মর্মর নাদ।
কানাপুকুর তল্লাবাসের পাশে ডুমুর গাছ
ডুকরে কাঁদে প্রাণ, পিতামাহিদীর কবরস্থান।
হাত পা ছড়ায়, কাঁটা লতা ভরা জঙ্গল
উইপোকা বাসা বাঁধে, খসে পড়ে চটা।
প্রাণের দুর্বোধ্য চরাচরে সমুদ্র সফেন
দিনে অন্ধকার কাচারি ঘর ঘোড়াশালা।
কালের আবর্তে, আমরাও ঝরে যাব
প্রাসাদের নোনা ধরা ইটের মত।
