
বলছিলাম জনাব জালাল উদ্দিন মাহমুদের কথা। তাঁর উদ্দেশ্যে বলতে হয়, “ তুমি কেমন করে গান কর হে গুণী”। তিনি ব্যাংকিং সাগরের বেলা ভূমিতে বহুটা পথ হেঁটেছেন দৃপ্তপদে। তিনি সাগরের নুনা জলের তিক্ততাকে পরিহার করেছেন অতি সযতনে। সাগর পারের অপরূপ সূর্য উঠার দৃশ্য দেখেছেন,দুপুরের খরতাপে ঘর্মাক্ত হয়েছেন, আবার দেখেছেন রক্তিম আভা ছড়ানো সূর্যাস্ত। দেখেছেন তারা ভরা রাত। সেখান থেকে তিনি শামুক বা ঝিনুক কুড়ান নি। কুড়িয়েছেন মুক্তো। গুচ্ছ গুচ্ছ ফুল দিয়ে মালা গেঁথে তিনি পাঠকদের উপহার দিয়েছেন। তিনি যে রসাত্মক ও আনন্দ দায়ক বিষয়বস্তু যতনে সংগ্রহে রেখেছেন একথা তিনি তাঁর ”রঙে ভরা আমার ব্যাংকিং জীবন” বইয়ের ভূমিকায় কিছুটা উল্লেখ করেছেন। প্রথমে তিনি তাঁর নিজস্ব ফেসবুকে লিখেছেন যে, তিনি ব্যাংকিং জীবনের রসঘন বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো ধারাবাহিক ভাবে লিখতে চান। আমি সহ অনেকেই সমর্থন করি। পর্বগুলো পড়তে ভালই লাগছিল। খুবই উৎসাহিত করতে লাগলাম। ভাবতে লাগলাম যে, এই মজার বিষয়গুলো কোন কারণে যেন থেমে না যায়। আমি ঘটনাচক্রে একটি অনলাইন পত্রিকার জিএম এইচআর। যদিও কাজকর্ম আমার দ্বারা তেমন চলছে না আমার স্বভাব সুলভ অলসতার কারণে। আমি সেই অনলাইন পত্রিকায় ( বঙ্গনিউজ.কম) এ লিখাগুলো ধারাবাহিক ভাবেই প্রচার করেছি। সেখানে দেখেছি অসংখ্য পাঠক এইগুলো পড়েছেন। তাঁর আরও অনেক গুণ আছে। একবারে অধস্তন থেকে একদম উর্ধতন, সকল কলিগের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ । নিজ থেকে এগিয়ে গিয়ে খুঁজ খবর নেন। ইত্যাদি কারণে তাঁর বন্ধু সংখ্যা ক্রমবর্ধমান আছে। সকলের পারিবারিক সুখে উদ্বেলিত ও শোকে তিনি কাতর হন। বিপদে সাধ্যমত চেষ্টা থাকে সামান্যতম উপকার করার। এসবই রঙলেপার ভিতকে দিয়েছে এক শক্ত ও মসৃণ অবস্থা। এতে রঙলেপার ( রঙে ভরা লেখক-পাঠক ফোরাম) জন্মের ইতিহাস পুরো পাওয়া যায় কি? না , পাওয়া যায় না। আসুন আরও একটু এগিয়ে যাই। লেখক নিজে এ বিষয়ে কিছু লিখেছেন। তাঁর বক্তব্য টুকু নিম্নে তুলে ধরছি।
এবারের রঙলেপার ( রঙে ভরা লেখক-পাঠক ফোরাম) ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীকে উপলক্ষ্য করে তিনি কিছু নাম উল্লেখ করেছেন। বাহুল্য হবে জেনেও তাঁর বক্তব্যটুকু তুলে ধরতে চাই। তিনি লিখেছেন- “রঙলেপা প্রতিষ্ঠা করার সময় পাবনার শারকীর ( ছানাপোনার মা) সাথে ছিলেন সিলেটের আদিল ও চাঁদপুরের ছোট। সিলেটের আদিল আমাকে আমন্ত্রণ জানায়। তারপর আমার রঙলেপায় আসা। সে সময়ে আড়াল থেকে সবকিছু তদারক করতেন করোনা শহীদ মরহুম খালেকুজ্জামান ( জিএম অবঃ অগ্রণী ব্যাংক), তিনিই ছিলেন রঙলেপার প্রথম সভাপতি। দ্বিতীয় সভাপতিও দুর্ভাগ্যক্রমে করোনা শহীদ ডিজিএম শেখ নুরুজ্জামান। সেক্রেটারি যমুনা ব্যাংকের মিসেস তাসমিনা জেবিন। পাশাপাশি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা ডিএমডি জনাব নুরুল আহসান এন্ড্রু, কল্পনা দিদি ( জিএম অবঃ অগ্রণী ব্যাংক), স্বপন কুমার বাবু, জহীর রফিক সরকার, আলতাফ (ভ্রমণ গুরু) রবীন, রাশেদ, হিমেলসহ আরও অনেকে। ছবি তুলতেন আরিফ ও রীমা। উৎসাহ দিতেন তপতী, জোহরা পারভীন,রীমা নীলা,সাজ্জাদ,মারুফ রানা,চৈতীসহ আরও অনেকেই। ছিল সিলেটের নুমান, ময়মনসিংহের জাকির জুয়েল। কভার ফটো নির্মাণে অভীক। সবাইকে উৎসাহ দিয়েছেন চট্টগ্রামের সমীর লোধ স্যার ও লেখক মাহবুব এবং বগুড়ার জালাল। এখন দিচ্ছেন আবুল কাশেম ভাই সহ অনেকেই। এক সময়ে হাল ধরেন ডিজিএম জনাব আক্তারুজ্জামান মন্ডল। সাথে অগনিত পাঠক। আছেন লেখক। আজ রংলেপার ৪র্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। পুনশ্চ- আজ ১৬/১১/২০২৫ তারিখ রঙলেপার ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। রঙলেপা বর্তমানে অনেক বড় হয়েছে। এখন সার্বিক দ্বায়িত্ব নিয়েছেন রঙলেপা মানবিক গ্রুপের সভাপতি ও ভ্রমণ গ্রুপের প্রধান সমন্বয়কারী জনাব জামাল উদ্দিন ( অবসরপ্রাপ্ত ডিজিএম ও সাবেক সভাপতি অগ্রণী ব্যাংক উত্তরবঙ্গ সমিতি), সাথে রয়েছেন তরিকুল। মানবিক গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ রুহুল আমিন স্যার ( তিনি অগ্রণী ব্যাংকের একজন নির্বাহী এবং প্রখ্যাত সুসাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর ভ্রাতুষ্পুত্র)। আছেন ড. ইউসূফ খান স্যার। তবে অ্যাডমিন প্যানেলে যারা আছেন- তাদের কথা বাদ পড়ে গেল। বাদ পড়ে গেলো তাদের কথা যারা আমাকে লেখক হিসেবে গড়ে তুলেছেন। আরও বাদ পড়ে গেলো রঙলেপার সকল সফল লেখক ও সহৃদয় পাঠকদের কথা- স্বল্প পরিসরে যা বলা সম্ভবও না” ।
এসব থেকে কি রঙলেপার জন্মকথা পুরোপুরি জানা গেল? না , জানা যায়না। তাই একটি আবেদনের কথাও উল্লেখ করতে চাই। আবেদনটি ছিল নিম্নরূপঃ-
-Ratul Hasan Adil with ছানাপোনার মা and Mainuddin Choto
Dt-Nov, 17,2019.
বরাবর,,
Md JalalUddin sir,
লেখক; রংগে ভরা আমার ব্যাংকিং জীবন
বিষয়:-বই সম্পর্কিত পোস্ট গ্রুপে প্রদান প্রসঙ্গে।
জনাব,
উপর্যুক্ত বিষয়ের প্রেক্ষিতে আপনি জেনে খুশি হবেন যে, আমরা কতিপয় পাঠক, “ রংয়ে ভরা আমাদের পাঠক ফোরাম” নামে একটি ফেইসবুক গ্রুপ খুলেছি। যার সদস্য সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৫০ ছাড়িয়েছে। এমতাবস্থায়,মহোদয়ের সমীপে আরজ যে, আপনার মূল্যবান পোস্টসমূহ উল্লেখিত গ্রুপে প্রদান করার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।
নিবেদক,
এডমিন প্যানেল।
অর্থাৎ কতিপয় তরুণ পাঠক-পাঠিকা নিজেই উদ্যোগ নিয়ে পাঠক ফোরাম গঠন করে ফেলেন। তারপর লেখককে যুক্ত হবার জন্য আমন্ত্রণ জানান। ( চলবে )