নির্দলীয় সরকার গঠনসহ ১০ দফা দাবির ঘোষণা বিএনপির

Home Page » জাতীয় » নির্দলীয় সরকার গঠনসহ ১০ দফা দাবির ঘোষণা বিএনপির
শনিবার ● ১০ ডিসেম্বর ২০২২


ঢাকার গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির সমাবেশ

বঙ্গ-নিউজ:  আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, জাতীয় সংসদের বিলুপ্তি ও নির্দলীয় সরকার গঠনসহ ১০ দফা দাবি ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। আজ শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠের গণসমাবেশ থেকে এসব দাবির কথা জানিয়েছে দলটি।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবিতে আগামী ১৩ ডিসেম্বর সব বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় গণমিছিলের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

গোলাপবাগ মাঠের গণসমাবেশে ঘোষিত ১০ দফা বাস্তবায়ন দাবিতে আগামী ২৪ ডিসেম্বর বিভাগীয় শহর ও জেলাগুলোতে একই কর্মসূচি পালন করা হবে।
বিএনপির ১০ দফা দাবি হচ্ছে

১. বর্তমান অবৈধ একাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ।

২. নির্বাচনকালীন একটি দল নিরপেক্ষ সরকার বা অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা।

৩. বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল করে নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ বা অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা। পূর্বশর্ত হিসেবে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিতে আরপিও সংশোধন, ইভিএম পদ্ধতি বাতিল ও পেপার ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা করা।

৪. খালেদা জিয়াসহ বিরোধীদলীয় সব নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও আলেমের সাজা বাতিল, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও রাজনৈতিক কারাবন্দিদের অনতিবিলম্বে মুক্তি দেওয়া। দেশে সভা, সমাবেশ ও মত প্রকাশে কোনো বাধা সৃষ্টি না করা, সব দলকে স্বাধীনভাবে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে প্রশাসন ও সরকারি দলের কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ বা বাধা সৃষ্টি না করা।

৫. মৌলিক মানবাধিকার হরণকারী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪ সহ সব কালা কানুন বাতিল করা।

৬. গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পানিসহ জনসেবা খাতের মূল্য বাড়ানোার গণবিরোধী সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করা।

৭. নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যবাজারকে সিন্ডিকেটমুক্ত করা।

৮. বিদেশে অর্থ পাচার, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত এবং বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত ও শেয়ার বাজারসহ রাষ্ট্রীয় সব ক্ষেত্রে সংঘটিত দুর্নীতি চিহ্নিত করতে কমিশন গঠন কিংবা অতি দ্রুত যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া।

৯. বিগত ১৫ বছরে গুমের শিকার নাগরিকদের উদ্ধার এবং বিচারবহির্ভূত হত্যা ও রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনার দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করা। এসব ঘটনার যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ভাঙচুর এবং সম্পত্তি দখলে দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া।

১০. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী, প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে সরকারি হস্তক্ষেপমুক্ত করে স্বাধীনভাবে কাজের সুযোগ দেওয়া।

বাংলাদেশ সময়: ২১:৪১:০৭ ● ৩৪৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ