মধ্যনগরে বাড়ছে বন্যার পানি, আতংকিত না হবার জন্য আহবান

Home Page » জাতীয় » মধ্যনগরে বাড়ছে বন্যার পানি, আতংকিত না হবার জন্য আহবান
মঙ্গলবার ● ৪ জুলাই ২০২৩


মধ্যনগরে বাড়ছে বন্যার পানি

সাজেদা আহমেদ, বঙ্গনিউজ:
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও গত পাঁচ দিনের ভারি বর্ষণে সোমেশ্বরী, উব্দাখালী ও মনাই নদের পানি বেড়েই চলেছে।
আজ সোমবার (৩জুলাই)
উপজেলার চারটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি,রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাজার,কবরস্থান,মন্দির সহ নানান জায়গা প্লাবিত হয়েছে। এতে করে বিপাকে পড়েছে মানুষ । সবচেয়ে প্লাবিত হয়েছে উপজেলার চামরদানী, বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ও বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল। বিগত ৫ দিনে সাড়ে তিন ফুটের মতো পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে আতংকিত হয়ে পড়ছে বন্যাকবলিত সাধারণ মানুষ।
জানা যায় , জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল জেলা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামীকাল মধ্যনগর ও ধর্মপাশা দুইটি উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা বিষয়ে জরুরি সভা আহবান করেছে ধর্মপাশা উপজেলা প্রশাসন। আমরা হাওরবাসী’র সমন্বয়কারী ও
মধ্যনগরের বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান
রাসেল আহমদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষকে নিয়মিত স্বল্প মেয়াদি বা দীর্ঘমেয়াদী বন্যা মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক প্রস্তুতি থাকতে হবে। বন্যা ইস্যুতে টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
এদিকে মধ্যনগর উপজেলায় পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট চলমান বন্যায় বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের রাস্তাঘাট, বসতবাড়ী, গবাদিপশুর খাদ্য ও ফসলী জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানালেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরনবী তালুকদার।
জানতে চাইলে বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আমানউল্লাহ আমান দৈনিক সুনামগঞ্জের খবরে জানান, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে আমরা বন্যা ঝুঁকিপূর্ণ গ্রাম গুলো পরিদর্শন করেছি।বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে জরুরি উদ্ধার কাজের জন্য ৩টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও প্রয়োজনীয় স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠণ করা হয়েছে। আতংকিত না হয়ে সকলকে পূর্ব প্রস্তুতি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হচ্ছে।

সুনামগঞ্জের পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার গণমাধ্যমে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে স্বীকার করে আতংকিত না হবার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।পাশাপাশি মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টিপাত হলে পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে বলেও তিনি জানান।

মধ্যনগর উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)শীতেষ চন্দ্র সরকার জানিয়েছেন,অতিবৃষ্টি জনিত পাহাড়ি ঢলে পানি দ্রুত বৃদ্ধির ফলে বন্যার আশংকা রয়েছে।বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভিন্ন ইউনিয়নের বন্যাশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তত রাখা, বন্যা দূর্গতদের পরিবহনের ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রতিটি ওয়ার্ডে স্বেচ্ছাসেবক দল প্রস্তুত রাখাসহ ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিকে সক্রিয় রাখতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১:০৬:০০ ● ৩৩৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ