
বঙ্গনিউজ; ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনীত করা হয়েছে। নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আজ যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান বাডি কার্টার নরওয়ের নোবেল কমিটির কাছে পাঠানো এক চিঠিতে ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেন। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘ট্রাম্প এমন একটি যুদ্ধবিরতির ব্যবস্থা করেছেন, যা অনেকেই অসম্ভব বলে মনে করতেন। তার এই প্রচেষ্টা শুধু সংঘাতই থামায়নি, বরং আন্তর্জাতিক শান্তি প্রতিষ্ঠার একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’
উল্লেখ্য, মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছালে ইসরায়েল ইরানের কয়েকটি পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। এর পাল্টা জবাবে ইরানও ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে হামলা করে। এই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার মার্কিন বাহিনী ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক স্থাপনায় শক্তিশালী হামলা চালায়। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরান কাতারে অবস্থিত একটি মার্কিন ঘাঁটিতে রকেট হামলা চালায়।
এই চরম উত্তেজনার মধ্যেই সোমবার মধ্যরাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন এবং জানান যে, দুই পক্ষই এতে সম্মতি দিয়েছে। এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে তিনি ‘একটি বড় কূটনৈতিক সাফল্য’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
নোবেল কমিটির কাছে পাঠানো চিঠিতে কংগ্রেসম্যান কার্টার আরও লিখেছেন, ‘ট্রাম্প কেবল সংঘাতই থামাননি, বরং ইরানকে পরমাণু অস্ত্র অর্জনের পথ থেকে বিরত রাখতেও দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছেন। শান্তির অন্বেষণ, যুদ্ধ প্রতিরোধ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রীতি রক্ষার যে আদর্শ নোবেল শান্তি পুরস্কারে স্বীকৃতি পায়, ট্রাম্পের ভূমিকায় সেই মূলনীতিরই প্রতিফলন ঘটেছে।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগেও একাধিকবার নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন। সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে ভূমিকা রাখায় পাকিস্তান তাকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছিল।
নোবেল কমিটির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শান্তি পুরস্কারের জন্য এখন পর্যন্ত ৩৩৮ জন প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন।