রঙে ভরা আমার ব্যাংকিং জীবনের ৪র্থ খন্ড, ৩০৬ তম পর্ব-জালাল উদ্দীন মাহমুদ

Home Page » সাহিত্য » রঙে ভরা আমার ব্যাংকিং জীবনের ৪র্থ খন্ড, ৩০৬ তম পর্ব-জালাল উদ্দীন মাহমুদ
মঙ্গলবার ● ১৮ জুলাই ২০২৩


জালাল উদ্দীন মাহমুদ

হাজেরা আপার জল চিকিৎসা-৪

স্যারের চা খাওয়া প্রায় শেষ । রফিক সাহেব তার পাশে এসে বসল। গোপনে কাজ সারতে হবে। অফিসের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষনের জন্য আমি চারদিকে তাকালাম।
আমার টেবিলের সামনে রাখা কাস্টমারের চেয়ারে বসে আছেন কাজেম উদ্দিন স্যার আর স্যারের পাশে অন্য একটা চেয়ারে রফিক সাহেব। পাশের টেবিলেই মিন্নাত । হরতালের দিন হওয়ায় শাখায় কোনও কাস্টমার নাই। গেটে তালা । কারো হাতে কোনও কাজ-কামও নাই। আমাদের দিকে পিওন হাবিব ছাড়া কেউ খেয়াল করছে না।ম্যানেজার সাহেব বোধহয় পাশের জোনাল অফিসে গেছেন।
পূর্ব পরিকলাপনা মোতাবেক কাজেমউদ্দিন স্যারকে জব্দ করার পর্ব শুরু হলো। কাজেমউদ্দিন স্যারের দিকে তাকিয়ে বুঝলাম, স্যার খুব খোশ মেজাজে আছেন। চা খাওয়া এইমাত্র শেষ করেছেন। ৫০০ টাকা পাবার ব্যাপারেও নিশ্চয়তা পেয়েছেন। খোশ মেজাজে থাকারই কথা। স্যারকে জব্দ করার আমাদের প্ল্যান কীভাবে যে প্রথম শুরু করব ভেবে পাচ্ছিলাম না। আমি হঠাৎ স্যারকে প্রশ্ন করলাম, স্যার আপনি আপনার পাশে বসা এই রফিক সাহেবকে চেনেন?
স্যার হাসলেন, বললেন -তোমার চেয়েও অনেক আগে থেকে তাকে আমি চিনি।
-উনি যে একজন বিখ্যাত কবিরাজ একথা কি জানেন? আমি বললাম।
-কি বলো? এ খবর তো জানি না। স্যারের কথার সুরে টের পেলাম তিনি অবিশ্বাস করলেন কথাটা।
আমি বললাম, এটা অবিশ্বাস করার মতো একটা ব্যাপারই। আমিও জানতাম না আগে। এখন জেনেছি।
-কি জেনেছ? স্যার জিজ্ঞাসা করলেন।
সে কাহিনি শুনবেন স্যার। আমি স্যারকে জিজ্ঞাসা করলাম।
স্যার একবার ঘড়ির দিকে তাকালেন। তারপর বললেন- ঠিক আছে বলো।
এ কাহিনিটা মুখস্থ বলার জন্য আমি গত ৩/৪ দিন রিহার্সেল দিয়েছি। হরতালের দিন । তাছাড়া ইতোমধ্যে ব্যাংকে লাঞ্চ বিরতি শুরু হয়েছে। আশেপাশে মিন্নাত ছাড়া তেমন কেউ নাই। মনে হয় বলতে অসুবিধা হবে না। আমি গলা কেশে শুরু করলাম।
( চলবে )

বাংলাদেশ সময়: ১০:২৯:৪৪ ● ২৩৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ