ময়মনসিংহ শহরের রাস্তাঘাট, বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে গেছে

Home Page » প্রথমপাতা » ময়মনসিংহ শহরের রাস্তাঘাট, বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে গেছে
শুক্রবার ● ৬ অক্টোবর ২০২৩


ময়মনসিংহ শহরের  প্রায় সব এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে
 বঙ্গ-নিউজঃ      ময়মনসিংহ নগরীর প্রায় সব এলাকায় সড়ক ও বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার দিনভর এবং সন্ধ্যার পর থেকে ভারী বৃষ্টিতে তীব্র জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সরকারি হাসপাতাল, বাসাবাড়ি, দোকানে ঢুকে পড়ায় চরম দুর্ভোগ দেখা দেয়। নগরীর ড্রেন উপচে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে পানি। বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও কন্ট্রোল রুমে পানি ঢোকায় রাত সোয়া ৯টা থেকে নগরীর ৫০ শতাংশ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টি চলতে থাকে। বিকেল থেকে বর্ষণের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে নগরীর ড্রেনগুলো উপচে পানি ছড়িয়ে পড়ে। সড়ক উপচে বাসাবাড়ি, দোকানে পানি প্রবেশ করে।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরেও ঢুকে পড়েছে পানি। স্টাফ কোয়াটারগুলোর নিচতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। বিদ্যুৎ না থাকায় জেনারেটর দিয়ে চিকিৎসা সেবা চালু রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. জাকিউল ইসলাম। তিনি বলেন, বৃষ্টিতে পানি বেড়ে গেছে। ওয়ার্ডে এখনও পানি পৌঁছায়নি।

এদিকে রেলপথ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সিগন্যাল পয়েন্ট কাজ করছে না। ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথে ট্রেন চলাচল বিঘ্ন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের পরিবহন বিভাগের পরিদর্শক শাহীনুর ইসলাম। তিনি বলেন, পানিতে লাইন ডুবে থাকায় সময় নিয়ে ধীরে ধীরে ট্রেন পার করতে হচ্ছে।

সড়কে হাঁটুপানি
টানা বৃষ্টিতে নগরীর প্রধান এলাকা, গাঙ্গিনারপাড়, চরপাড়া মোড়, নতুনবাজার মোড়, টাউনহল এলাকা, রেলস্টেশন এলাকা, ব্রাহ্মপল্লী, নয়াপাড়া, নওমহল এলাকা, বলাশপুরসহ প্রায় ৫০ শতাংশ এলাকায় বাসাবাড়ির নিচতলায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন মানুষ। বিভিন্ন বস্তিতে শুরু হয়েছে মানবেতর জীবনযাপন। বস্তির ঘরগুলো হঠাৎ বর্ষণে তলিয়ে গেছে।

নগরীর ব্রাহ্মপল্লী এলাকায় আটকে পড়া তরুণ ইমরুল হাসান ইমন বলেন, ভাবি অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার জন্য বাসা থেকে খাবার আনতে শিকারিকান্দা এলাকায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হাঁটু সমান পানিতে আটকা পড়েছি। বৃষ্টিতে সড়কে গাড়িও চলছে না।

নগরীর গোলাপজান রোড এলাকায় একটি ছাত্রাবাসে থাকেন আনন্দমোহন কলেজের শিক্ষার্থী আরিফুর রহমান। সেখানে পানি উঠে পড়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন। এমন অবস্থা পুরো নগরীজুড়েই।

পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট গ্রিড অব কোম্পানির (পিজিসিবি) নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল হক বলেন, টানা বর্ষণে পুরো গ্রিডে পানি উঠেছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।

তবে পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (পিডিবির) প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, কেওয়াটখালী কন্ট্রোল রুমে পানি ঢোকায় বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টা থেকে নগরীর ৫০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। দমকল বাহিনীকে খবর দেওয়া হয়েছে। স্বাভাভিকভাবে পানি না কমলে পরিস্থিতি ঠিক হবে না।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, বৃষ্টি কিছুটা কমায় পানিও কমতে শুরু করেছে। দ্রুত পানি সরে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে একটি টিম কাজ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১:২৯:৫০ ● ৯৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ