মধ্যনগরে প্রশাসনের সহযোগিতায় বাল্যবিবাহ বন্ধ করলেন:ইউপি চেয়ারম্যান

Home Page » সারাদেশ » মধ্যনগরে প্রশাসনের সহযোগিতায় বাল্যবিবাহ বন্ধ করলেন:ইউপি চেয়ারম্যান
শনিবার ● ১৪ অক্টোবর ২০২৩


মধ্যনগরে প্রশাসনের সহযোগিতায় বাল্যবিবাহ বন্ধ করলেন:ইউপি চেয়ারম্যান

বঙ্গ-নিউজ: 

বিশেষ প্রতিনিধি: সাজেদা আহমেদ

 সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের গড়াকাটা গ্রামের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রী (১৫) বাল্য থেকে রক্ষা পেয়েছে। মধ্যনগর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও অলিদুজ্জামানের নির্দেশনায় মধ্যনগর থানা পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় বাল্যবিবাহ বন্ধ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান।  (১২ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার দুপুরে এই বাল্য বিয়েটি বন্ধ হয়েছে। এলাকাবাসী ও মধ্যনগর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ   ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকা গড়াকাটা গ্রামের বাসিন্দা অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই ছাত্রীর সঙ্গে একই ইউনিয়নের দুলাশিয়া গ্রামের খুরশিদ মিয়ার ছেলে মোশারফ মিয়া (২৫)এর সঙ্গে বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। বুধবার রাত নয়টার দিকে এই বাল্য বিয়ের আয়োজনের খবরটি জানতে পারেন মধ্যনগরের ভারপ্রাপ্ত ইউএনও। তাৎক্ষণিকভাবে মধ্যনগর থানার ওসি মোহাম্মদ এমরান হোসেন ও বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাসেল আহমদের সঙ্গে এই বাল্য বিয়েটি বন্ধ করতে তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলেন। ওসি ও ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে মেয়েটির বাড়িতে যান মধ্যনগর থানার এসআই সুভাষ চন্দ্র বর্মন এবং ওই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আমানুল্লাহ ও ইউপি সদস্য এখলাছ উদ্দিন। ছাত্রীটির বাবা তখন বাড়িতে ছিলেন না। এ অবস্থায় মেয়েটির দাদা ও মাকে বাল্য বিয়ের কুফল এবং এ ধরণের বিয়ে বেআইনি এমনটি বুঝিয়ে বলায় তারা বিয়েটি বন্ধ করতে রাজি হন। ১৮ বছরের আগে ওই ছাত্রীকে বিয়ে দেবেন না বলেও লিখিতভাবে তাঁরা অঙ্গীকার করেন।

বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউপির চেয়ারম্যান রাসেল আহমদ বলেন, তিনি বাল্যবিবাহের ঘোর বিরোধী। স্থানীয় একটি চক্র ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করে বাল্যবিবাহকে উৎসাহিত করছিল। তাঁদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। তাঁর ইউনিয়নে কোনো অবস্থায় তিনি বাল্যবিবাহ হতে দেবেন না।

মধ্যনগরের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা ধর্মপাশার সহকারি কমিশনার (ভূমি) অলিদুজ্জামান বলেন,ইউপি চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশের সমন্বিত প্রচেষ্টায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই ছাত্রীটির বাল্য বিয়ে বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে।বাল্য বিয়ে বন্ধে উপজেলা প্রশাসন সব সময় তৎপর রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩:০৬:২০ ● ২২০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ