বঙ্গ নিউজ:গ্রীষ্ম এলেই বাজারে উঠতে শুরু করে রসালো আম। এর স্বাদ যেমন অতুলনীয়, তেমনি পুষ্টিগুণেও ভরপুর। তবে গর্ভবতী মায়েরা আম খেতে চাইলে অনেকেই দ্বিধায় পড়েন—এটি কি গর্ভাবস্থায় উপকারী নাকি ক্ষতির কারণ হতে পারে?

আমের উপকারিতা কী?

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুষ্টিবিদ ডা. সুমাইয়া নাহার বলেন,

“আম একটি প্রাকৃতিক ফল, এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এ, সি, ই এবং ফোলেট—যা গর্ভকালীন স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।”

বিশেষ করে নিচের দিকগুলো গর্ভবতী নারীদের জন্য উপকারী হতে পারে:

ফোলেট (Vitamin B9): ভ্রূণের স্নায়ুতন্ত্রের গঠন সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে সাহায্য করে।
ভিটামিন সি: দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং আয়রন শোষণে সহায়ক।
ফাইবার: কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে, যা গর্ভাবস্থায় খুবই সাধারণ একটি সমস্যা।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: শরীরের টক্সিন দূর করতে সহায়তা করে।

কী ধরনের সতর্কতা দরকার?

তবে খেয়াল রাখতে হবে—প্রাকৃতিকভাবে পাকা আম না খেয়ে রাসায়নিক বা কার্বাইড দিয়ে পাকানো আম খেলে মা ও গর্ভস্থ শিশুর স্বাস্থ্যে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে।

এছাড়া অতিরিক্ত আম খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, যা *গর্ভকালীন ডায়াবেটিস* সৃষ্টি করতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:

সেন্ট্রাল হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. রুবায়েত হোসেন বলেন:

প্রতিদিন ১-২টি মাঝারি মাপের আম খাওয়া নিরাপদ। তবে যারা আগে থেকেই গ্লুকোজ লেভেল নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন, তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আম খাওয়া উচিত।”

গর্ভবতী মায়েরা নিরাপদ উৎস থেকে পরিমাণমতো পাকা আম খেলে তা হতে পারে এক সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর বিকল্প। তবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভুলবেন না—বিশেষজ্ঞের পরামর্শই শেষ কথা।