
বঙ্গ নিউজ:বিশ্বজুড়ে পরিবহন ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে ড্রোন প্রযুক্তি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুব শিগগিরই আকাশপথে যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত হবে প্যাসেঞ্জার ড্রোন, যা আগামী দিনের অন্যতম প্রধান যানবাহনে পরিণত হতে চলেছে।
ইতোমধ্যে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সহ একাধিক দেশ পরীক্ষামূলকভাবে ড্রোন ট্যাক্সি চালু করেছে। চীনের ইহাং (EHang) কোম্পানি সফলভাবে তাদের ড্রোন ট্যাক্সির মাধ্যমে যাত্রী পরিবহন করেছে। একইভাবে দুবাইতে পরীক্ষামূলক ড্রোন ট্যাক্সি চালিয়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ভলোকপ্টার (Volocopter) নামের একটি জার্মান প্রতিষ্ঠান।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহার ট্রাফিক জ্যাম সমস্যার কার্যকর সমাধান হতে পারে। কারণ, ড্রোন আকাশপথে চলাচল করে, যা সড়কের চাপ অনেকটাই কমাতে পারে। পাশাপাশি বৈদ্যুতিক শক্তি-চালিত হওয়ায় এটি পরিবেশবান্ধবও বটে।
তবে ড্রোন যানবাহনের ব্যবহার এখনও চ্যালেঞ্জের মুখে। বিশেষ করে, নিরাপত্তা, আকাশসীমা নিয়ন্ত্রণ, প্রযুক্তিগত ত্রুটি এবং উচ্চমূল্যের কারণে সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য এটি সহজলভ্য নয়। এ বিষয়ে সরকার ও বেসরকারি খাতে সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন রয়েছে বলে মত দিয়েছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশেও এই প্রযুক্তি নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে। দেশীয় স্টার্টআপগুলো ভবিষ্যতে ড্রোন পরিবহনের সম্ভাব্য ব্যবহার নিয়ে কাজ শুরু করেছে। বিশেষ করে, পণ্য সরবরাহ ও জরুরি স্বাস্থ্যসেবায় ড্রোন ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির প্রেক্ষাপটে একথা স্পষ্ট যে, ড্রোন শুধু একটি ফ্যান্টাসি নয় — এটি বাস্তবতা হয়ে উঠছে। আর এই বাস্তবতা হয়তো আগামী এক দশকের মধ্যেই আমাদের দৈনন্দিন যাতায়াত পদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তন আনবে।