৫০ বছরেও সংস্কার হয়নি ঐতিহ্যবাহী চৌমুহনী রেলওয়ে স্টেশনটি
Home Page »
সারাদেশ »
৫০ বছরেও সংস্কার হয়নি ঐতিহ্যবাহী চৌমুহনী রেলওয়ে স্টেশনটি

নোয়াখালী থেকে মোতাহার হোসেন:এক সময়ের বৃহত্তর নোয়াখালীর ঐতিহ্যবাহী চৌমুহনী রেলস্টেশনটি বর্তমানে সম্পূর্ণ অচল অবস্থায় পতীত হয়ে পড়েছে। নামমাত্র দুই একটি ট্রেন চলাচল করলেও আগের মতো বড় বড় ট্রেনের বগি কাঁচামাল/ পণ্যসামগ্রী আমদানি হয় না। এই ষ্টেশনটি দেশের দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের জন্য একান্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ এই স্টেশন ঘিরে গড়ে উঠেছে,দখল, বানিজ্য ছোট বড় পাইকারি খুচরা ফলমূল বিক্রেতার অভয়ারণ্য। বিভিন্ন সরকারের আমলে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে অনেকেই ষ্টেশনের সামনে পেছনে পাকা_ কাঁচা দোকান পাট নির্মাণ করে ব্যবসা বাণিজ্য করছে। আবার অনেকেই নার্সারি খুলে বসেছে। রেললাইনের ওপর এমনকি ষ্টেশনটির নিজস্ব ২ টি জলাশয় বেদখল হয়ে গেছে। এই চিত্র একদিনের নয়, দীর্ঘ ৩০/৪০ বছর ধরে চলছে অরাজকতা। শোনা যায় মাঝে মাঝে তদন্তের নামে বিভাগীয় কর্তারা এসে মোটা অংকের উপঢৌকন নিয়ে যান। আন্তঃউপকূল এক্সপ্রেস ও লোকাল ট্রেন ছাড়া আর কোন মালবাহী ট্রেন এখানে আসে না। লাকসাম পর্যন্ত এসে তা আবার ফেরত চলে যায়। বর্তমানে চৌমুহনী রেলওয়ে স্টেশনটি বিশাল একটি অর্থনৈতিক ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে উঠলেও এই ষ্টেশনের উন্নয়নে সরকার কিংবা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোন মাথা ব্যাথা নেই। জননিরাপত্তার স্বার্থে এই ষ্টেশনের প্রবেশপথে অর্থাৎ চৌমুহনীর ফেনী রোডের প্রবেশ পথে কোন আধুনিক গেট না থাকায় প্রতিবছর ১-২ জন করে পথচারীকে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ হারাতে হয়। অন্যদিকে আন্তঃউপকূল এক্সপ্রেস নোয়াখালী থেকে ঢাকা যেতে এখন ৪/৫ ঘন্টা সময় নেয়,এবং লোকাল ট্রেনের মত প্রতিটি ষ্টেশনে বিরতি কার্যক্রম চালায়। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, এই বিরতি কার্যক্রমের আড়ালে মাদক সিন্ডিকেটগুলো তাদের পন্য নিয়ে ওঠা নামা করে। মূলত সার্বিকভাবে এই রেল ষ্টেশনটি সম্পূর্ণ অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। এলাকার জনগণ এই বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কামনা করে সঠিক ব্যবস্থা ও সংস্কারের দাবী জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:৩৪:২৬ ●
২৩ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)