দিলু রোকিবার গ্রন্থ ও জীবনী

Home Page » সাহিত্য » দিলু রোকিবার গ্রন্থ ও জীবনী
বুধবার ● ১৬ মার্চ ২০২২


 দিলু রোকিবা

বিশিষ্ট কবি ও লেখিকা দিলু রোকিবা ৬ই সেপ্টেম্বর ১৯৫৩ সালে টাঙ্গাইল জেলায় করটিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম মৌলভী নওশের আলী এবং মাতা সৈয়দা হাসিনা হেনার আট সন্তানের মধ্যে পঞ্চম সন্তান তিনি। বর্তমানে তিনি তার একমাত্র পুত্র সন্তান আহমেদ বিন আনোয়ার মিথুন, বৌমা-খুরশিদা আক্তার বানু খুশি, একমাত্র নাতি-আয়ান আহনাফ শ্রেষ্ঠ ও একমাত্র নাতনি নাজিফা তাবাসসুম শ্রেয়াকে নিয়ে মিরপুর সাংবাদিক আবাসিক এলাকায় বসবাস করেন। এদেরকে নিয়েই সময় জীবনযাপন। উনার কাছে সবার আগে এই পরিবার।

এ, কে, গার্লস হাই স্কুল করটিয়া থেকে স্কুল, কুমুদিনী মহিলা কলেজ, টাঙ্গাইল থেকে কলেজ শেষ করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স, বি.এড করেন। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যয়নরত অবস্থায় বেতার, টিভিতে তিনি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান, নৃত্য, অভিনয়, বিতর্ক, আবৃত্তি করেন। গার্লস গাইডস ও হলদে পাখির সদস্য হিসেবে এখনও তার নাম লেখা আছে গাইড হাউজে। তিনি ছিলেন মোহাম্মদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক,ঢাকা বোর্ডের প্রধান পরীক্ষক, প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারী। ছোট বেলা থেকেই তিনি লেখালেখির সাথে জড়িত। পারিবারিক সূত্রে বড়ভাই কবি, ছড়াকার, সাহিত্য সম্পাদক, আবু হাসানের থেকে এই লেখা লেখির হাতে খড়ি নেন। তিনি বিভিন্ন স্কুল, কলেজের স্বাধীনতা উত্তর দেয়াল পত্রিকা, লিটল ম্যাগাজিন ইত্যাদি সম্পাদনা করেছেন। লেখাপড়া চলাকালীন সময়ে তাঁর স্বামী বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিষ্ট জনাব শামসুল আনোয়ার মানিকের অকৃত্রিম সহযোগিতা, উৎসাহ আর প্রেরণাতেই তাঁর সাহিত্যের জগতে প্রবেশের পথ উন্মোচন হয়।

স্বামীর সঙ্গে

দীর্ঘদিন শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত থাকার কারণে তাঁর সাহিত্যে বিস্তৃতি আর পাশাপাশি স্বামী-স্ত্রীর একত্রে বেতার ও টিভিতে কাব্য সাহিত্য অঙ্গনের চর্চা আরো শাণিত হয়। এ যাবত দৈনিক পত্রিকা দেশ-বিদেশে অসংখ্য লেখা, গল্প, প্রবন্ধ, নিবন্ধ, অফটপিকস, কবিতা, বিশেষ দিনের ফিচার অদ্যাবধি প্রকাশ আর তার ধারাবাহিকতা এখনো অব্যাহত। এ যাবত সময়ে তিনি বহু পুরস্কার পদক প্রাপ্ত হন। তাঁর মধ্যে বিরল সম্মান অর্জন শিক্ষকতার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মহাত্মা গান্ধীর পুরস্কার প্রাপ্ত। তিনি এ যাবত বহুমাত্রিক লেখক, কবি ও সংগঠক হিসেবে সম্মাননা ও পদক পেয়েছেন। তিনি একজন সমাজ সেবক। সুইড বাংলাদেশ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান। আর সুইডের(রমনা শাখার) জাতীয় কাউন্সিলার। তিনি নিরাপদ সড়ক চাই এর একজন সক্রিয় সদস্য। তিনি ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা আকাশের সহ প্রকাশনা সম্পাদক। তিনি একাত্তরে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা মটিভেটর ছিলেন ১১ নং সেক্টরের। বর্তমানে জাতীয় কবি পরিষদের লেখিকা পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা ও নির্বাহী কমিটির উপদেষ্টা ও পরামর্শক। মহান একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় একক কাব্যগ্রন্থ দুটি, যৌথ ছ’টি । লিটল ম্যাগাজিন সব আগুনে পুড়ে যায়। যৌথ কাব্যগ্রন্থ প্রায় চল্লিশটির মতো। ছোট গল্প শত নক্ষত্রের গল্পে একুশে মেলায় বের হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০:১৬:০৯ ● ৬৯৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ