গলার ক্যান্সারের কারণ ও প্রতিরোধে করণীয়

Home Page » সংবাদ শিরোনাম » গলার ক্যান্সারের কারণ ও প্রতিরোধে করণীয়
শুক্রবার ● ২৬ জানুয়ারী ২০২৪


গলার ক্যান্সারের কারণ ও প্রতিরোধে করণীয়

মাথা ও মুখগহ্বর থেকে শুরু করে গলার নিচ, অর্থাৎ বুকের শুরু পর্যন্ত অঞ্চলে কোনো ক্যান্সার হলে তা হেড-নেক ক্যান্সার হিসেবে গণ্য। মুখের ভেতরে ক্ষত, ঘা, টিউমার ইত্যাদি কারণে স্বাভাবিক খাবার বাধাগ্রস্ত হয় বা খেতে গেলে ব্যথা হয়। এমনটি হলে বুঝতে হবে, মুখের ভেতরে খারাপ রোগের লক্ষণ শুরু হয়েছে। এমনকি গলার ভেতরেও এ রকম সমস্যা হলে অবশ্যই একজন ভালো নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
নাক-কান-গলার ক্যান্সারের মূল কারণ তামাক ও মদ্যপান বিবেচ্য হলেও আমাদের দেশের জন্য পান-সুপারি, অতিরিক্ত ঝাল ও মসলাযুক্ত খাবার মুখগহ্বরের ক্যান্সারের জন্য অনেকাংশে দায়ী। বলা হয়ে থাকে, নাক-কান-গলার ক্যান্সারের মধ্যে ৭৫ শতাংশই তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের কারণে হয়। হিউম্যান প্যাপিলমা নামে এক ধরনের ভাইরাসকে ইদানীং ক্যান্সারের জন্য দায়ী বলে ধরা হচ্ছে। এ ছাড়া প্যাকেটজাত খাবার, লবণাক্ত খাবার বা কাঠ ও রঙের কাজ যারা করেন, তাদের ক্ষেত্রে নাক ও গলার ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। রেডিয়েশন, জেনেটিকস বা জিইআরডিকে কারণ হিসেবে ধরা হয়। নাক-কান-গলার ক্যান্সারের উপসর্গগুলো সাধারণত গলায় কোনো টিউমার বা লাম্প অথবা গলার ভেতরে বা বাইরে কোনো ক্ষত বা ঘা যা সহজে শুকায় না, যে কারণে খাওয়ার সময় কষ্ট হয়। কোনো কোনো সময় গলার স্বরভঙ্গ নিয়েও আসতে পারে। তবে বিভিন্ন কারণে গলায় স্বরভঙ্গ হতে পারে। কিন্তু তিন সপ্তাহের অধিক সময় যদি এ স্বরভঙ্গ স্থায়ী থাকে, তাহলে তা নিয়ে ভাবা উচিত। নাক-কান দিয়ে রক্ত আসাও কিন্তু ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
চিকিৎসা পদ্ধতি
ক্যান্সার চিকিৎসায় সার্জারি, রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি, টার্গেটেড থেরাপি ও
কম্বাইন্ড থেরাপি প্রচলিত। এতে রোগমুক্তির হার দিন দিন বাড়ছে।
প্রতিরোধের উপায়
যদিও পুরোপুরি ক্যান্সার প্রতিরোধ
অসম্ভব, তবু ঝুঁকি কমানোর জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি।
lপ্রথমেই তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য, যেমন– সাদা, জর্দা, ধূমপান একদম বন্ধ করতে হবে।
lমদ্যপান ও কোল্ড ড্রিংকস এবং বোতল ও প্যাকেটজাতীয় পানীয় সম্পূর্ণরূপে বর্জন করতে হবে।
lটাটকা শাকসবজি ও ফলমূল বেশি
করে খেতে হবে।
lনিয়মিত ব্যায়াম ও শৃঙ্খলামাফিক জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ হতে হবে।
lরোদে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার এবং ভাইরাস সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে হবে।
lঝাল-মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।
lমুখে আলগা দাঁত লাগানো থাকলে
সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, যেন ভালোমতো ফিট থাকে।
লেখক : ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:৩৮:৩৪ ● ৭৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ