জাতীয় রাজনীতিতে কি প্রভাব ফেলবে ডাকসুর ভোটের ফলাফল?

Home Page » জাতীয় » জাতীয় রাজনীতিতে কি প্রভাব ফেলবে ডাকসুর ভোটের ফলাফল?
বৃহস্পতিবার ● ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫


ডাকসু নির্বাচন

বঙ্গ-নিউজঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে এক ঐতিহাসিক ফলাফল এসেছে। জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির প্রায় পুরোটা জয় করে নিয়েছে।

ভিপি, জিএস, এজিএস সহ মোট ২৮টি পদের মধ্যে ২৩টিতেই শিবির–সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। রাজনৈতিক মহলে এখন প্রশ্ন—এ জয় কি শুধু ক্যাম্পাসে সীমাবদ্ধ, নাকি জাতীয় রাজনীতিতেও এর বড় প্রভাব পড়বে?

অন্যদিকে বিএনপির ছাত্রসংগঠন ছাত্রদলের দুর্বলতা স্পষ্ট হয়েছে এই নির্বাচনে। অনেকেই বলছেন, দীর্ঘদিন সংগঠন চালাতে না পারা, পূর্ণাঙ্গ প্যানেল না দেওয়া আর ক্যাম্পাসে কার্যত নিষ্ক্রিয় থাকার কারণে ছাত্রদল পিছিয়ে পড়েছে। বিএনপির নেতৃত্বও স্বীকার করছে—শিবির প্রস্তুতি নিয়েই নেমেছিল, আর ছাত্রদলের ঘাটতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

শিবিরের এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত জামায়াতের শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, এটি আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্যও একটি সতর্ক সংকেত। তাদের দাবি, শিক্ষার্থীরা পুরোনো ধাঁচের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করেছে, চাইছে মেধা ও একাডেমিক ভিত্তিক নতুন ধারার রাজনীতি।

এদিকে বিএনপি শিবিরের এত ভোট পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। তাদের দাবি, গোপনে ছাত্রলীগ থেকেও সমর্থন পেতে পারে শিবির। আবার অনেকে বলছেন, বিপুল অর্থ ব্যয়ের প্রভাবও ছিল এই নির্বাচনে।

সর্বশেষ ফলাফলে দেখা যায়—ভিপি পদে সাদিক কায়েম, জিএসে এস এম ফরহাদ এবং এজিএসে মুহা. মহিউদ্দীন খান নির্বাচিত হয়েছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই নির্বাচন শুধু ডাকসুর নয়—বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতির দিকনির্দেশনাও দেখিয়ে দিল। ‘জেন–জি’ প্রজন্মের কাছে পুরোনো বিভাজনের গল্প আর গ্রহণযোগ্য নয়, তারা চাইছে গঠনমূলক রাজনীতি।

বাংলাদেশ সময়: ১:৫৪:১৭ ● ১৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ