ঢাকায় মাধ্যমিক শিক্ষকদের টানা আন্দোলন

Home Page » জাতীয় » ঢাকায় মাধ্যমিক শিক্ষকদের টানা আন্দোলন
বুধবার ● ১৯ জুলাই ২০২৩


মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি

বঙ্গ-নিউজঃ  মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে রাজধানীতে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালনকারী শিক্ষকদের বিষয়ে হঠাৎ কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কোনো কিছু না জানিয়েই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাসে অনুপস্থিত শিক্ষকদের তালিকা করার জন্য স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও স্থানীয় শিক্ষা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধ্যাপক (কলেজ ও প্রশাসন) শাহেদুল খবির চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়, মাউশির অধীন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যেসব শিক্ষক নিয়মিত স্কুলে আসছেন না, তাদের তালিকা করতে হবে। এ কাজটি বাস্তবায়ন করবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও স্থানীয় প্রশাসন।
অন্যদিকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা। গত ১১ জুলাই থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়েছেন তারা। গতকাল মঙ্গলবার অষ্টম দিনের মতো কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এর আগে সোমাবার বিকেলে মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন শিক্ষক নেতারা। বৈঠকে নিজেদের দাবিদাওয়া তুলে ধরেন তারা।

আন্দোলনকারী শিক্ষক সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, আজ (বুধবার) শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বলে মাউশি মহাপরিচালক জানিয়েছেন। শিক্ষকরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা সরকারীকরণের এক দফা ঘোষণা আশা করছেন। আন্দোলন অব্যাহত রাখার পাশাপাশি দাবি পূরণের আলোচনাও চলবে। দাবি আদায় করে স্কুলে ফিরবেন শিক্ষকরা।

শিক্ষকদের ব্যাপারে মাউশির চিঠিতে বলা হয়, নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০২৩ সাল থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন নির্ভর করছে প্রতিষ্ঠানপ্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ব্যবস্থাপনা কমিটি, শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সবার ওপর। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটিকে প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দৈনন্দিন শিখন ও মূল্যায়ন কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিতে শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানপ্রধানের নিয়মিত উপস্থিতি অপরিহার্য। কিন্তু কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষকরা উপস্থিত থাকছেন না। এতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি ব্যবস্থাপনা কমিটির নজরদারি না থাকায় শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়ছেন। এই অবস্থায় শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ক্লাসসহ নানা বিষয়ে গভীর নজর দেওয়া হচ্ছে।

চিঠিতে কয়েকটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যা মানতে অনুরোধ করা হয়েছে। সেগুলো হলো– প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতে ব্যবস্থাপনা কমিটি সক্রিয় তদারকি করবে। শিক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠান প্রধান কার্যকর ভূমিকা নেবেন। শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণে গৃহীত বিশেষ ব্যবস্থা কার্যকর রাখতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে মিথ্যা ও উস্কানিমূলক প্রচারণায় অংশ নেওয়া যাবে না। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। এসব নির্দেশনা না মানলে প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২:০০:০৯ ● ১৭৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ