যাত্রীদের সিলেট-আখাউড়া রুটে ভোগান্তি

Home Page » প্রথমপাতা » যাত্রীদের সিলেট-আখাউড়া রুটে ভোগান্তি
বৃহস্পতিবার ● ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩


ফাইল ছবি

বঙ্গ-নিউজঃ   জরাজীর্ণ ইঞ্জিন, বগি আর ক্রমাগত লোকসান ও লোকবলের অভাবে সিলেট-আখাউড়া রুটে চলাচলকারী সাধারণ যাত্রীবাহী ট্রেনগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় যাত্রীরা।

৬০ বছর ধরে ঢাকা-সিলেট রুটে চলাচলকারী সুরমা মেইল ট্রেন চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এক বছর আগে চট্টগ্রাম ও সিলেটের মধ্যে চলাচলকারী জালালাবাদ ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। আখাউড়া-সিলেট রুটে চলাচলকারী কুশিয়ারা ট্রেন এরও আগে বন্ধ হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চলাচলকারী সুরমা মেইল, জালালাবাদ ট্রেন এবং কুশিয়ারা ট্রেনগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বৃহত্তর সিলেট, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের যাত্রীদের একটি বড় অংশ বিপাকে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে এসব যাত্রীর আন্তঃনগর ট্রেনে চলাচল করতে হচ্ছে। যার কারণে এসব ট্রেনেও যাত্রীসেবা ব্যাহত হচ্ছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৭-৮৮ সালে আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হওয়ার আগে ঢাকা-সিলেট রুটে সুরমা মেইল ও চট্টগ্রাম-সিলেটে চলাচলকারী জালালাবাদ ট্রেন সিলেট ও কুমিল্লা অঞ্চলের যাত্রীদের একমাত্র ভরসা ছিল।
সুরমা মেইলে যুক্ত ছিল বাংলাদেশ ডাক বিভাগের একটি বগি। ডাক বিভাগ বর্তমানে বাধ্য হয়ে সড়কপথে প্রতিদিন ডাক আনা-নেওয়া করছে। তাছাড়া নরসিংদী-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-আখাউড়া-শায়েস্তাগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল থেকে সিলেটের ব্যবসায়ীরা খুব অল্প খরচে পণ্য ট্রেনে বুকিং দিয়ে সিলেটের বাজারে আনতে পারতেন।

স্থানীয়রা জানান, সুরমা মেইল ট্রেন ও জালালাবাদ ট্রেন বাতিল করায় সড়কপথে পণ্য পরিবহনে ব্যয় বেড়েছে ব্যবসায়ীদের। তাছাড়া সিলেট-আখাউড়া সেকশনের স্টেশনগুলোর পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে রাজস্ব আয় তুলনামূলকভাবে কমে গেছে। সুরমা মেইল ও জালালাবাদ ট্রেন খুব সকালে সিলেট পৌঁছানোর কারণে শ্রীমঙ্গল, ভানুগাছ, শমশেরনগর, কুলাউড়া, ফেঞ্চুগঞ্জের অনেক সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী প্রতিদিন ট্রেনে চড়ে সিলেট নগরীতে যাতায়াত করতেন। সাধারণ যাত্রীবাহী ট্রেনগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয়রা এখন আর এসব সুবিধা পাচ্ছেন না।

কুলাউড়ার রবির বাজারের প্রদীপ চক্রবর্তী জানান, তারা ১৫ জন ব্যবসায়ী প্রতিদিন ফেঞ্চুগঞ্জে কম খরচে কলা, লেবু কিনে এনে বিক্রি করে রাতের ফিরতি সুরমা মেইল ধরে বাড়ি ফিরতেন। এখন আর সেটা সম্ভব হচ্ছে না। ফেঞ্চুগঞ্জ বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী গোপাল দেবনাথ জানান, ট্রেনে করে পণ্য পরিবহনে খরচ কম ছিল। পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় লাভ কমে গেছে।

মাইজগাঁওয়ের স্টেশন মাস্টার ইমাম হোসেন জানান, সাধারণ যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোর ইঞ্জিন ও বগি জরাজীর্ণ ছিল। রেল বিভাগ ক্রমাগত লোকসানের কারণে ও লোকবলের অভাবে ট্রেনগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব ট্রেনের পণ্যবাহী বগিগুলো এখন আন্তঃনগর ট্রেনের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০:২৯:১১ ● ১০০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ