চট্টগ্রামে উন্নয়ন প্রকল্প দেখতে ৩৪ বিদেশি কূটনীতিক

Home Page » সংবাদ শিরোনাম » চট্টগ্রামে উন্নয়ন প্রকল্প দেখতে ৩৪ বিদেশি কূটনীতিক
মঙ্গলবার ● ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪


পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

বঙ্গনিউজঃ  ২৪টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার মিশন প্রধানসহ ৩৪ জন কূটনৈতিক চট্টগ্রামের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাম্বাসেডরস আউট রিচ প্রোগ্রামের আওতায় তারা এ পরিদর্শনে রয়েছেন। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিদেশি কূটনীতিকরা যাতে দেশ ও দেশের অগ্রগতি সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে পারেন সেজন্যই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই আউটরিচ প্রোগ্রাম। এই পরিদর্শনের মাধ্যমে বাঙালি জাতির সামর্থ্য এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলছে তাতে আমাদের দেশকে ভালোভাবে জানতে পারবেন কূটনীতিকরা। বাংলাদেশকে জানার মাধ্যমে তারা তাদের দেশকে এই বার্তা পৌঁছে দেবেন। বাংলাদেশের এই খবরগুলো তারা বিশ্বময় ছড়িয়ে দেবেন।

মঙ্গলবার দুপুরে কূটনৈতিক সদস্যদের নিয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন শেষে ট্রেনযোগে কক্সবাজার যাওবার সময় চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা যেন আমাদের দেশকে জানেন, দেশে যে বিরাট উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ হচ্ছে সেগুলো যেন তারা স্বচক্ষে দেখেন, সে কারণেই তাদের চট্টগ্রামে আনা হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনযোগে তারা কক্সবাজার যাবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাম্বাসেডরস আউটরিচ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এই সফরের আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত ট্রেন লাইন হয়েছিল ১৯৩০ সালে। কিন্তু তার অনেক আগেই চট্টগ্রাম থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ট্রেন লাইনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে। অর্থাৎ ১৯০০ সালের পরপরই সেটির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু দেশ বিভাগ হলো, দেশ বিভাগের পর বাংলাদেশ হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু তিনিও বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। কারণ স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মাথায় তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল। বিধ্বস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরিভাবে পুনর্গঠন করার আগেই তাকে হত্যা করা হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এই জনপদের মানুষ যে স্বপ্ন ১২৫ বছর আগে দেখেছিল, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। এটি একটি অসাধারণ কাজ। তাই আজকে আমরা কূটনীতিকদের চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে করে কক্সবাজার নিয়ে যাচ্ছি। তাদের আনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- তারা যেন বাংলাদেশকে জানেন এবং চেনেন। আমাদের দেশে যে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, এই সমুদ্র সৈকতের খবরটা যেন তাদের মাধ্যমে বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশের সৌন্দর্য ও উন্নয়ন সম্পর্কে তারা যেন ভালো করে জানতে পারেন সেজন্যই তাদের আমরা নিয়ে এসেছি।

বিদেশে প্রতিনিধিদের এই পরিদর্শনের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সফরে এসেছেন তারা। আজ চট্টগ্রামে কয়েক ঘণ্টা কাটালেন। কর্ণফুলি নদীর তলদেশ দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম রোড টানেল তারা দেখলেন। ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ দক্ষিণ এশিয়ার কোথাও নদীর তলদেশ দিয়ে রোড টানেল নেই। সেটি তারা দেখলেন। এই যে অসাধারণ উন্নয়ন, যেগুলো আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগে মানুষ কল্পনাও করেনি, সেগুলো আজকে বাস্তব। সেই বাস্তবতা আজকে কূটনীতিকরা নিজের চোখে দেখেছেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া, চীন, কোরিয়া, ইতালি, ডেনমার্ক, কসোভো, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, শ্রীলংকা, ভিয়েতনাম, ভ্যাটিকান, ভুটান, স্পেন, আর্জেন্টিনা, লিবিয়া, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মিশর, ফ্রান্স এবং এফএও, আইইউটি, একেডিএন আন্তুর্জাতিক সংস্থাগুলোর ২৪ জন মিশন প্রধানসহ ৩৪ জন কূটনৈতিক সদস্য এই আউটরিচ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪৭:২৪ ● ৭৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ