যুক্তরাজ্যের অ্যান্ডারসন আর বাংলাদেশের মিল্টন, কে কার দীক্ষাগুরু

Home Page » জাতীয় » যুক্তরাজ্যের অ্যান্ডারসন আর বাংলাদেশের মিল্টন, কে কার দীক্ষাগুরু
শনিবার ● ১৮ মে ২০২৪


জেমস অ্যান্ডারসনের প্রতিষ্ঠান ডেফার

বঙ্গ-নিউজ: সুদূর যুক্তরাজ্যে মানবিক কাজের জন্য রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাওয়া জেমস অ্যান্ডারসনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, জেমস অ্যান্ডারসন মানুষের কাছ থেকে অনুদান সংগ্রহের জন্য নানা ধরনের প্রতারণা করেছেন। তিনি মৃতদের ছবি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা চালাতেন। সম্প্রতি মানবিকতার মুখোশ এটে প্রতারণার অভিযোগে বাংলাদেশেও মিল্টন সমাদ্দার নামে এক ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে।

পেশায় স্যানিটারি মিস্ত্রি জেমস অ্যান্ডারসন ‘ডেফার’ নামের একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। সংগঠনটি জানায়, তারা সাধারণ মানুষের দেওয়া অনুদান দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করা, গ্যাস ও বিদ্যুতের বিল পরিশোধে অক্ষম ব্যক্তিদের বিল শোধ করা, মৃতদের শেষকৃত্য এবং বিনামূল্যে স্যানেটারি সেবা প্রদানে ব্যয় করত।

তিনি এতটাই জনপ্রিয় ছিলেন, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তিনি ২ মিলিয়ন পাউন্ড অনুদান পেয়েছিলেন। তার এসব কাজ সাধারণ মানুষের পাশাপাশি তারকাদেরও নজর কাড়ে। ফলে তারকারাও তাকে বিরাট অঙ্কের অনুদান দিতেন। এছাড়া তিনি আইটিভির ‘দিস মর্নিং’ শোতেও আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। এমনকি তার এই কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৯ সালে তিনি ব্রিটিশ সরকারের সিটিজেনশিপ অ্যাওয়ার্ডসহ নানা ধরনের পুরস্কার লাভ করেন।

জেমস অ্যান্ডারসন

তবে সম্প্রতি এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জেমস অ্যান্ডারসন মানুষের কাছ থেকে অনুদান সংগ্রহের জন্য নানা ধরনের প্রতারণা করেছেন। তিনি মৃতদের ছবি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা চালাতেন। এমনকি কয়েক বছর আগে মারা যাওয়া এক নারীর ছবি ব্যবহার করে জেমস দাবি করেন, সম্প্রতি তিনি তাকে আত্মহত্যা থেকে বাঁচিয়েছেন।

তবে জেমস অ্যান্ডারসন ওই প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্যগুলো অস্বীকার করেছেন। তবে তিনি স্বীকার করেন, দীর্ঘদিন ধরে কাজ করতে গিয়ে তার কিছু ভুল হয়েছে।

এদিকে জেমস অ্যান্ডারসনকে দেওয়া রাষ্ট্রীয় সম্মাননা সিটিজেনশিপ অ্যাওয়ার্ড বাতিল করা হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০:৪৬:৪০ ● ৭২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ