বঙ্গ নিউজ:বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তির যে বিপ্লব চলছে, তার অন্যতম চমকপ্রদ ও আলোচিত আবিষ্কার হলো ChatGPT। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক এই চ্যাটবট বিশ্বজুড়ে তথ্য খোঁজা, লেখালেখি, কোডিং, গবেষণা এমনকি সৃজনশীল লেখালেখিতেও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে এক নির্ভরযোগ্য ডিজিটাল সহচর হিসেবে।

কী এই ChatGPT?

ChatGPT হলো OpenAI কর্তৃক নির্মিত একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)-ভিত্তিক ভাষা মডেল। এটি মানুষের মতো করে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে, জটিল বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে পারে এবং সৃজনশীল লেখাও রচনা করতে পারে। এর সর্বশেষ সংস্করণ GPT-4o, ২০২৫ সালে মুক্তি পেয়েছে, যা আগের সব ভার্সনের তুলনায় আরও দ্রুত, স্মার্ট ও মানবসদৃশ।

 কোথায় কোথায় ব্যবহৃত হচ্ছে?

শিক্ষাক্ষেত্রে: শিক্ষার্থীরা এটি ব্যবহার করছে নোট তৈরি, প্রবন্ধ লেখার আইডিয়া, এবং কনসেপ্ট বোঝার জন্য।

পেশাগত কাজে: ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এটি ব্যবহার করছে ক্লায়েন্ট সাপোর্ট, ডেটা অ্যানালাইসিস এবং মার্কেটিং কনটেন্ট তৈরিতে।

সৃজনশীল কাজে: কবিতা, গল্প, চিত্রনাট্য এমনকি গান লেখার ক্ষেত্রেও ChatGPT এখন এক দুর্দান্ত সহকারী।

 সম্ভাবনা এবং শঙ্কা

ChatGPT যেমন কাজের গতি ও মান উন্নত করছে, তেমনি কিছু প্রশ্নও উঠেছে—এটি কি মানুষের চাকরি হরণ করবে? তথ্যের সত্যতা কতটা নিশ্চিত? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি ব্যবহারকারী নির্ভর। সচেতনভাবে ব্যবহার করলে এটি এক অমূল্য সম্পদ।

 বাংলাদেশে ChatGPT

বাংলাদেশেও এর ব্যবহার দিন দিন বেড়ে চলেছে। শিক্ষার্থী, লেখক, ডিজিটাল মার্কেটার, এমনকি সাংবাদিকরাও ChatGPT-এর সহায়তা নিচ্ছেন। সরকারিভাবে AI ব্যবহারে নীতিমালা তৈরির কথাও ভাবা হচ্ছে।

ChatGPT কেবল একটি সফটওয়্যার নয়—এটি ভবিষ্যতের জ্ঞানের দরজা খুলে দেওয়া এক জাদুকরি চাবি। সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে এটি হতে পারে আপনার ব্যক্তিগত সহকারী, শিক্ষক, লেখক বা গবেষক।

প্রযুক্তির এই অভূতপূর্ব অগ্রগতি আমাদের কল্পনার বাইরের এক জগতে নিয়ে যাচ্ছে—যেখানে মানুষের চিন্তার সীমানা প্রযুক্তির ডানায় উড়ে বেড়াচ্ছে অনন্ত সম্ভাবনার আকাশে।