ভেজাল এবং নকল ওষুধ তৈরির শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

Home Page » জাতীয় » ভেজাল এবং নকল ওষুধ তৈরির শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সোমবার ● ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩


প্রতীকি ছবি- নকল ও ভেজাল ঔষধ তৈরীর শাস্তি যাবজ্জীবন।

বঙ্গ-নিউজ: ভেজাল এবং নকল ওষুধ তৈরির শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এ সংক্রান্ত আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। নতুন আইনে ‘ঔষধ’ এর সঙ্গে ‘কসমেটিকস’ শব্দটি যুক্ত করা হয়েছে।

আইনটি এখন থেকে ‘ঔষধ এবং কসমেটিকস আইন-২০২২’ নামে পরিচালিত হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। ্আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনের খসড়াটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নতুন এই আইন সম্পর্কে সচিব বলেন, ‘কোনও ওষুধ ক্ষতিকারক প্রমাণিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে তা বাজার থেকে বাতিল করার বিধান রাখা হয়েছে। আর এই আইন অনুযায়ী ওষুধের উৎপাদন থেকে সব ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।’

‘নতুন করে কেউ প্রসাধনী উৎপাদন করতে চাইলে তাকে সরকারের লাইসেন্স বা অনুমোদন নিতে হবে। সেই সঙ্গে নতুন ওষুধ আইনে ৩০টি অপরাধ যুক্ত করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি জানান, নতুন আইনে ভেজাল এবং নকল ওষুধ তৈরি করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

‘ওষুধের কৃত্রিম সংকট তৈরি করলেও নতুন আইনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে নিবন্ধন ছাড়া ওষুধ উৎপাদন করলে কারখানা মালিককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।’

প্রস্তাবিত এই আইনে বেশ কিছু ওষুধের মূল্য সরকার নির্ধারণ করবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

নতুন আইনে এন্টিবায়োটিক নিয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘রেজিস্ট্রার চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি করা যাবে না। কোনও দোকান থেকে ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি করা হলে ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে’ বলে জানান মাহবুব হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০:১০:৪১ ● ৩৩০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ