![সুবর্ণা মুস্তফার ফাইল ছবি](https://www.bongo-news.com/cloud/archives/2022/04/bnewstip-41.jpg)
বঙ্গনিউজঃ কপালে টিপ পরায় এক নারী শিক্ষককে কটূক্তি ও পায়ে মোটরসাইকেলের চাকা তুলে হেনস্তার অভিযোগ নিয়ে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য সুবর্ণা মুস্তফা। তিনি এ ঘটনায় অভিযুক্ত ‘পুলিশ সদস্য’র বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন।
রোববার সংসদের বৈঠকে পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে এ দাবি তোলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।
শনিবার রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক লতা সমাদ্দার শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তিনি অভিযোগ করেন, টিপ পরায় পুলিশের পোশাক পরা একজন তাকে হেনস্তা করেছেন।
লতার অভিযোগ, তিনি প্রতিবাদ করায় পুলিশের ওই সদস্য মোটরসাইকেল চালিয়ে তার গায়ের ওপর উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। সরে গিয়ে রক্ষা পেলেও আহত হন তিনি। ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি পাশেই দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশকে বিস্তারিত জানান।
সংসদে সুবর্ণা মুস্তফা বলেন, নারী সমাজের জন্য এটি অত্যন্ত ঘৃণিত একটি ঘটনা। দেশে বখাটেদের ইভটিজিংয়ের ঘটনা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু যখন দেশের আইন রক্ষাকারী কাউকে ইভটিজিংয়ের ভূমিকায় দেখা যায়, তখন তা সবার জন্য অত্যন্ত লজ্জাকর।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে, একজন নারী টিপ পরতে পারবেন না। এখানে হিন্দু-মুসলমান, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এমনকি তিনি বিবাহিত না বিধবা, সেটা বিষয় নয়। একটি মেয়ে টিপ পরেছেন। তিনি একজন শিক্ষক। রিকশা থেকে নামার পর দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার ইভটিজ করেছেন। প্রতিবাদ করায় তার সঙ্গে তুই-তোকারিও করা হয়েছে। অসম্মান করা হয়েছে।
সংরক্ষিত নারী আসনের এই সদস্য বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।