ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগের দুই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে গবেষণা চুরির অভিযোগ

Home Page » শিক্ষাঙ্গন » ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগের দুই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে গবেষণা চুরির অভিযোগ
শুক্রবার ● ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩


প্রদত্ত চিঠি

ডেস্ক রিপোর্টঃ     বিগত ২০২২ সালের জুলাই মাসে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ দাউদ খান ও অধ্যাপক রেবেকা সুলতানার পিএইচডি থিসিসে প্লাগিয়ারিজম বা জালিয়াতি ও মৌলিকত্ব শর্ত পূরণে ব্যর্থতার অভিযোগ করলে, অধ্যাপক রেবেকা সুলতানার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত করতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির রিপোর্ট সিন্ডিকেটে পর্যালোচনা করে অধিকতর তদন্ত কমিটি গঠন করলেও অজ্ঞাত কারণে আজও মোহাম্মদ দাউদ খানের বিরুদ্ধে আনীত অনুরুপ অভিযোগের বিষয়ে কতৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেননি। এ বিষয়টি জানতে পেরে অভিযোগকারী শিক্ষক পুনরায় অধ্যাপক মোহাম্মদ দাউদ খানের গবেষণা চুরির বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে নতুন করে আবেদন করেছেন বলে জানা যায় । উপাচার্যের বরাবরে করা অভিযোগের একটি কপি থেকে জানা যায় অধ্যাপক মোহাম্মদ দাউদ খান দ্বিতীয় , তৃতীয় , চতুর্থ ও পঞ্চম অধ্যায়ে ব্যাপক ভাবে বিভিন্ন বই থেকে অনুবাদ করে পর্যাপ্ত পর্যালোচনা ও বিশ্লেষন ছাড়াই থিসিস রচনা করেছেন। এভাবে অভিসন্ধর্ভ রচনা করায় অন্যতম শর্ত মৌলিকত্ব পূরণে বার্থ হয়েছে। এবং যেভাবে বিষয়গুলো চয়ন করা হয়েছে তাতে করে অভিসন্ধর্ভটি একটি অনূদিত পুস্তকে পরিনিত হয়েছে। দীর্ঘ একবছর আগে একই সঙ্গে অভিযোগ করা হলেও আজও অধ্যাপক মোহাম্মদ দাউদ খানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোনো তদন্ত হয়নি। এতে করে প্রশ্ন উঠেছে গবেষণা চুরির তদন্তেও কতৃপক্ষ কি নারী -পুরুষ বৈষম্য করছেন ?এর আগে জার্নালিজম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমান ও সংগীত বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মহসীনা আক্তার খানম ওরফে লীনা তাপসী খানের বিরুদ্ধে পিএইচডি গবেষণা চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ অভিযোগ তদন্ত করে শাস্তি দেয়া হয়েছে। অধ্যাপক সামিয়া রহমান অবশ্য আদালতে জিতেছেন যা এখন আপিল বিভাগে বিচারাধীন। দেশের সর্বোচ বিদ্যাপীঠে এরকম জালিয়াতির বিষয় জন মনে শংকা উদ্বেগ জাগিয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, এবং সংশ্লিষ্ট ডেস্ক অফিসারের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা যায় উপাচার্য না চাইলে তদন্ত হয় না। উপাচার্যকে ফাইল চাইতে হবে। এমনকি যদি কোনো ডেস্ক অফিসার ফাইলের ব্যাপারে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে বলতে চান তবে ভৎসনার শিকার হন। উপাচার্য দপ্তরের কর্মকর্তারাও অভিযোগ দেয়ার আগে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলে নেয়ার পরামর্শ দেন। কখনও কখনও তারা অভিযোগ জমা নিতেও চান না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠানে গবেষণা চুরির বিষয় আমলে না নেয়া ন্যায় বিচারের অবহেলা এবং খুবই দুঃখ জনক বলে মন্তব্য করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষক। এবিষয়ে অধ্যাপক মোঃ দাউদ খানকে যোগাযোগ করা হলে টেলিফোন কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। অন্যদিকে, অধ্যাপক রেবেকা সুলতানা বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র মনে করে মন্তব্য প্রকাশ করেছেন। অধ্যাপক রেবেকা সুলতানার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তিনি তার গবেষণা প্রবন্ধে ও পিএইচডি থিসিসে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কটূক্তি করেছেন এবং ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন সম্পর্কে ভিত্তিহীন তথ্য পরিবেশন করেছেন। যেখানে একটি ছাত্রের কাছে নকল পেলে শাস্তি দেয়া হয় সেখানে শিক্ষকের এরকম অধঃপতনকে আমলে না নেয়া বোধগম্য নয় বলে আরেক শিক্ষক মন্তব্য করেছেন। কোনো কোনো শিক্ষকের অভিমত থিসিস নকলের অভিযোগ আমলে নিলে আরও অনেকের তথ্য ফাঁস হয়ে যেতে পারে বলে অভিযোগ আমলে নেয়া থেকে বিরত রয়েছেন কতৃপক্ষ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:০৭:০৬ ● ৭০০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ